রায়হান হত্যাঃ নোমানকে এখনো গ্রেফতার না করতে পারার ব্যর্থতা কার

gbn

ফারহানা বেগম হেনা ||

সিলেটের আলোচিত রায়হান  হত্যার ২ বছর হয়ে  গেলেও আজও অধরাই রয়ে গেল সাংবাদিক পরিচয় দেয়া রায়হান হত্যার অন্যতম আসামী নোমান। একে একে এ মামলার মূল অভিযুক্ত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (বহিষ্কৃত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ অভিযুক্ত বাকি পুলিশ সদস্যরা গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইর অভিযোগ আনা ব্যক্তিকেও সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। কিন্তু এখনো অধরাই রয়ে গেছে কোম্পানীগঞ্জের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে কাল্লু নোমান। তবে কি রায়হান হত্যার অন্যতম আসামী নোমান অধরাই রয়ে যাবে। নোমান কে আজও গ্রেফতার করতে না পারার ব্যর্থতা কার? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকেরই মনে।

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ঘটে যাওয়া নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যু বরণ করেন রায়হান আহমদ। এই রায়হান হত্যার ঘটনায় সিলেটেসহ সারা দুনিয়া জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। রায়হানকে হত্যার পর সারা দেশ জুড়ে এমনকি বহিঃবিশ্বের সকলেই হয়েছেন হতবাক এবং সবাই একাত্মতা প্রকাশ করে বিভিন্ন ভাবে সোচ্চার হয়ে উঠেন এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য ও এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য।

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর দিনগত মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে এনে রায়হান আহমদকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়। পরদিন ১১ অক্টোবর সকালে রায়হান আহমদ মারা যান। রায়হান মারা যাওয়ার পর বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে মৃত্যুর বিষয়টি কে অন্য দিকে মুড় ঘুড়িয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশ প্রচার করতে থাকে ছিনতাইয়ের সময় গণধোলাইয়ের কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

গতবছর ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্মম নির্যাতনে রায়হান হত্যার পরপর ওই ফাঁড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক গায়েব করাসহ আকবরকে পালাতে প্রধান সহায়তাকারী নোমান ১৩ ডিসেম্বর আকবরের সাথে লাপাত্তা হলেও আকবর কে পরে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও এখনো অধরা রয়ে গেছে এই মামলার অন্যতম আসামী নোমান। এমনকি এ মামলার তদন্তের কাজ শেষ।কিন্তু আজও নোমানকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। নোমান কে গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষুব্ধ নিহত রায়হানের মা ও তার পরিবারের সকলে।

অনেকেই বলছেন পুলিশের ভাষ্য মতে নোমানের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না তাই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।নোমানকে গ্রেফতার করতে না পারাটা এটাই কি মূল কারণ নাকি এর পেছনে অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে আছে। রায়হান হত্যার অন্যতম আসামী নোমান কে গ্রেফতার করা হলে কি আরও নতুন কোন চমক বেড়িয়ে আসতে পারে। এই হত্যা মামলার আড়ালে কি আরও কেউ আছে যাদের নাম আজও আড়ালেই রয়ে গেছে। নোমান গ্রেফতার হলে এমন অনেকের নাম কি আড়াল থেকে বেড়িয়ে আসতে পারে যার কারণে নোমান আজও অধরাই রয়ে গেল। এমনটাই ভাবছেন অনেকে।

অনেকে বলছেন, রায়হান হত্যার মূল আসামী আকবর হোসেন ভুঁইয়া কে আটকের পর আকবর হোসেন ভুঁইয়ার ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ও ৩টি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়। আকবরের ব্যবহৃত মোবাইল ও সিম কার্ড থেকে কি কোন তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। আকবর হোসেন ভুঁইয়া গ্রেফতার হওয়ার পর আদালত থেকে ৭ দিনের রিমান্ড মুঞ্জর করা হয়। পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে কি আকবর হোসেন ভুঁইয়ার কাছ থেকে পুলিশ কোন তথ্য উদ্ধর করতে পারেনি। অথবা আকবর হোসেন ভুঁইয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় যে মোবাইল ফোনটি ফেলে গিয়েছিল তা থেকেও  কি পুলিশ কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। নাকি এমন কোন তথ্য ছিল বা পাওয়া গেছে যা প্রকাশ করা যাবে না বলেই তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। কথায় বলে যে কোন অপরাধী যতই চালাক বা জ্ঞানী হোকনা কেন সে সামান্য হলেও কোন না কোন ভুল সে করবেই। 

নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমার ছেলেকে যেদিন নির্যাতন করে মারা হয়েছে এর আগের দিন এবং যেদিন মারা হয়েছে ওইদিন অনেকবার নোমানের সাথে আকবরের যোগাযোগ হয়েছে। পুলিশ ফাঁড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক গায়েব করার সময় নোমানের সাথে আকবর হোসেন ভুঁইয়া ও সাথে ছিল। ফাঁড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্ক নোমান কোথায় কি ভাবে গায়েব করেছে তা নিশ্চয়ই আকবর হোসেনের জানা আছে। আকবর পালিয়ে যাওয়ার সময় যে মোবাইল সেটটি রেখে গেছে সেখানে 
তাদের দুজনের কল রেকর্ড চেক করে এ তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। তাছাড়া রায়হান হত্যার প্রমাণ স্বরূপ ফাঁড়ির সিসিটিভির ফুটেজ গায়েব করেছে  নোমান। তাকে ধরে ফুটেজ উদ্ধার করতে পারলেই বুঝা যেতো আমার ছেলেকে কি পরিমাণ নির্যাতন করা হয়েছে। কেন নির্যাতন করা হয়েছে এমন অনেক কিছুই বেড়িয়ে আসতো। এমনকি আমার ছেলে রায়হান হত্যার প্রধান আসামী আকবর হোসেন ভুঁইয়া কে আটক করে রিমান্ডে নেওয়ার পর পুলিশ আকবরের কাছ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের রেকর্ড নষ্ট করা সম্পর্কে ও নোমান কোথায় পালিয়ে যেতে পারে ও আকবর হোসেনের সাথে নোমানের কি কি আলাপ হয়েছে সেই বিষয় গুলো আজও পরিস্কারভাবে তুলে ধরা হয়নি। দুঃখের বিষয় হলো যে আজও নোমানকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। কেন নোমান কে গ্রেফতার করতে পারেনি সেটা পুলিশই ভালো বলতে পারবে। আকরকে গ্রেপ্তার করতে পারলো আর নোমানকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না তাহলে কি আকবরের থেকে নোমান বেশি শক্তিশালী,নাকি পুলিশ ব্যর্থ নোমান কে গ্রেফতার করতে।

রায়হানের মা নোমানকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়ে বলেন,মা হিসেবে আমি চাইবো নোমানকে গ্রেপ্তার করা হোক। কারণ এই নোমানই সব করেছে। সে আকবরকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে ছিল। নোমানের কাছে এই হত্যার আরও অনেক তথ্য ও থাকতে পারে।  আকবরকে বাঁচাতে নোমানই প্রথমে আমার ছেলেকে ছিনতাইকারী হিসেবে প্রচার করেছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরও অনেক কিছু বের হয়ে আসবে। আমি তো আর আমার ছেলেকে ফিরে পাবনা কিন্তু আমার ছেলের হত্যার সঠিক বিচার যদি পাই তা হলে মনে শান্তি পাবো না হয় আমি মরেও শান্তি পাবনা। 

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নোমানকে গ্রেপ্তার করতে সকল রকম তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও দূরত্বের কারণে নোমানের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। রায়হান হত্যার মূল আসামী পলাতক অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তার স্বর্বস বুদ্ধি মত্তা দিয়ে ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আকবর হোসেন ভুঁইয়া কে আটক করতে পারে তবে নোমানকে কেন আজও আটক করা সম্ভব হচ্ছে না বলে পুলিশের পক্ষে এটা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। 

এদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ জানিয়েছেন,নোমানকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের সকল রকম তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও তাকে গ্রেফতার করতে আমাদের একটু  সময় লাগছে। কারণ নোমান প্রযুক্তি খুবই ভালো বুঝে। আমাদের মনে হচ্ছে নোমান তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে ও বেশ পারদর্শী এবং চৌকশ হওয়ায় তার অবস্থান শনাক্ত করতে একটু কষ্টকর হচ্ছে বলে জানান তিনি। যেহেতু নোমানের সাথে পুলিশের খুব ভালো একটা সম্পর্ক ছিল সেহেতু নোমান খুব ভালো করে জানে যে আমরা অপরাধী ধরতে পারবো এমন যতগুলো মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি এর সবগুলো মাধ্যম তার খুব ভালো করে জানা। তাই তাকে সহজে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অপরাধী যতই চালাক ও জ্ঞানীই হোকনা কেন কোন এক সময় তাকে ধরা পরতেই হবে। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং এটা অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন,
আকবরকে যে ভাবে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এখন সেই ভাবে নোমানকেও গ্রেপ্তার করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু তাকে ধরতে এখন আমারা অন্যভাবে অন্য কৌশল অবলম্বন করে তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

নোমানকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বলেন,যেখানে যেখানে আমাদের বার্তা পাঠানো দরকার সব জায়গায় আমরা বার্তা পাঠিয়েছি দিয়েছি এবং এ বিষয়ে নিয়মিত খুজ খবরও নেয়া হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য। সকল রকম চেষ্টাই চলছে। আমাদের চেষ্টায় কোন কমতি হচ্ছে না। তাকে গ্রেফতার করতে এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। 

নোমান পালিয়ে যাওয়ার পর একটি সূত্রে জানা গিয়েছিলো সে গাজীপুর কালিয়াকৈর এলাকার একটি রাবার বাগানের ভিতর অবস্থান করে থাকতে পারে এবং সে পালিয়ে যাওয়ার পর নারায়নগঞ্জ থেকে টাকাও উত্তোলন করেছে এ তথ্যের ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নিশারুল আরিফ বলেন,আমি তথ্যটি শুনেছি এবং সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি অবগতও করে রাখা হয়েছে। আমাদের কাছে যখন যে তথ্য আসছে তার সব গুলো তথ্যই খুবই ভালো করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন তারা।

এ মামলার তদন্ত সম্পর্কে পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার বলেন,তদন্তের কাজ শেষ। খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মামলার তদন্তের কাজ শেষ করা হয়েছে। এবং  নির্ধারিত সময়েই এই মামলার চার্জশিট আদালতে জমা  দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এবং বর্তমানে মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য যে,রায়হান হত্যার ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তে পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হানকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করার সত্যতা পায় অনুসন্ধান কমিটি।

এদিকে  গতবছর ৯ নভেম্বর তারিখে নোমানের সহযোগিতায় পালিয়ে যাওয়া আকবরকে কানাইঘাটের ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে ১০ নভেম্বর সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.আবুল কাশেমের আদালতে তাকে হাজির করে পিবিআই সিলেটের তদন্ত কর্মকর্তা মো.আওলাদ হোসাইন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার ৭ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আকবর বর্তমানে জেল হাজতে আছে। তবে আকবর গ্রেপ্তারের ১০দিন পর সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত ২টি মোবাইল সেট,৩টি সিম এবং কাপড় উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। উদ্ধারকৃত ২টি মোবাইলের মধ্যে একটি রিয়েলমি ব্রান্ডের মোবাইল রয়েছে বলে জানা গেছে। ওই মোবাইলটি কাল্লু নোমানের বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

তবে উদ্ধার হওয়া সকল কিছুই জব্দ তালিকায় লিপিবদ্ধ থাকবে বলে জানালেও তদন্তের স্বার্থে মোবাইলের মালিকানার ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার।

এ ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে একই বছরের ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পালিয়ে যাওয়া এই  মামলার প্রধান আসামি আকবর হোসেন ভুঁইয়া কে  ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

২০২১ সালের ৫ মে এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই। এতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান আসামী অভিযুক্ত করা হয়। মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন-পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো.হারুন অর রশিদ (৩২),টিটু চন্দ্র দাস (৩৮),এসআই মো.হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)।এ মামলায় অভিযুক্ত ছয় আসামির মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্যই বর্তমানে কারাাগারে রয়েছেন। অন্য আসামি আবদুল্লাহ আল নোমান পলাতক অবস্থায় রয়েছে এখনো। বর্তমানে মামলাটি সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন