সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||
মুসলিম মিল্লাতের দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষের শুভ বারতা নিয়ে আগমন করে হিজরি বর্ষপঞ্জির শেষ মাস জিলহজ। এ মাসের প্রথম দশকে রয়েছে হজ ও কোরবানির দিন। জিলহজের ৯ তারিখ পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয় এবং পরদিন ১০ তারিখ উদযাপিত হয় ঈদুল আজহা। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এ দুটো দিন আগমন করে গভীর তাৎপর্য ও সুদূরপ্রসারী বার্তা নিয়ে।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর পুরান ঢাকার মুফতি দ্বীন মোহাম্মাদ রোড (উর্দু রোড) এ ইমাম সমাজ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসন্ন পবিত্র হজ্জ, ঈদুল আযহা ও কোরবানিকে উপলক্ষ্য করে ইমাম সমাজ বাংলাদেশের উদ্যোগে হজ্জ, ঈদুল আযহা ও কোরবানি শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশিষ্ট ইসলামি আলোচক, ইমাম সমাজ বাংলাদেশের মহাসচিব ও চক বাজার শাহী মসজিদের ইমাম ও খতীব মুফতী মাওলানা মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মৌলভী বাজার শাহী মসজিদ এর ইমাম মুফতী মাওলানা শামসুল হক উসমানী, জামিয়া হোসাইনিয়া আশ্রাফুল উলুম বড় কাটারা মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতী মাওলানা আলহাজ¦ আনিসুর রহমান, সিরাজামমুনিরা জামে মসজিদের খতীব মুফতি মাওলানা হাফেজ মোহাম্মাদ তসলিম আহমেদ, ইমাম সমাজ বাংলাদেশ এর যুগ্ন মহাসচিব মুফতী মাওলানা শহিদুল আনওয়ার সাদী, চক বাজার শাহী মসজিদের ইমাম মুফতী মাওলানা রহমত উল্লাহ আরাবিসহ আরও অনেকে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, "কোরবানি বলতে আমরা গরু-ছাগল জবাই বুঝি। কিন্তু এর গভীরে হযরত ইব্রাহিম (আ:) ত্যাগের ঘটনা রয়েছে। কোরবানির ঈদে ত্যাগের মহিমা যেন আমরা না ভুলি। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় নির্ধারিত দিনে ব্যক্তির পশু জবাই করা হলো- কোরবানি। শুধু আত্মত্যাগই নয় বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও কোরবানি। আল্লাহর কাছাকাছি হওয়ার মাধ্যম এ কোরবানি সম্পর্কে কোরআনুল কারিমের একাধিক আয়াতে রয়েছে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা।কোরবানির গোশত বা রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূর্ণ আল্লাহ সচেতনতা। এই লক্ষ্যেই কোরবানির পশুগুলোকে আমাদের অধীন করে দেওয়া হয়েছে। অতএব আল্লাহ আমাদের সৎপথ প্রদর্শনের মাধ্যমে যে কল্যাণ দিয়েছেন, সেজন্যে আমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করি। ’

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন