সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সেনাবাহিনীর অভিযানে তালিকাভূক্ত একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে সস্ত্রীক আটক করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) ভোর ৫টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ফাটাপইন গ্রামের মৃত আলহাজ আলীর ছেলে মো. তবারক আলী (৩৭) ও তার স্ত্রী সাবিনা আক্তার (২৯)।
সেনাবাহিনীর প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সোমবার (৩০ জুন) ভোর ৫টার দিকে সিলেট ওসমানী নগর আর্মি ক্যাম্পের আওতাধীন সিলেট জেলার, বিশ্বনাথ থানার, ১ নম্বর মামলার ১ নম্বর আসামিকে ফাটাপইন এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী তবারক আলী (৩৭) ও তার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সহযোগী স্ত্রী সাবিনা আক্তারকে (২৯) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দা বটি ৪ টি, চাপাতি ৫ টি, দা ৩ টি, বড় ছুড়ি ১ টি, ছোট ছুরি ১৪ টি, মোবাইল অ্যান্ড্রয়েড ২ টি, মোবাইল বাটন ২ টি, চেক বই মোট ১৬ টি, মোবাইল সিম ১২ টি, ডেবিট কার্ড ৩ টি, নগদ টাকা ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বিশ্বনাথ থানার হস্তান্তর করা হয়।
বিশ্বনাথ থানা পুলিশ জানায়, সেনাবাহিনীর হাতে আটককৃত তবারক আলীর উপর ৩টি মাদক মামলাসহ, নারী হত্যা, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাইয়সহ মোট ১৬টি মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে একটি মহল অভিযোগ করছে, মাদক ব্যবসা করে তবারক আলী সিলেটের বিশ্বনাথসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্যের বড় বড় ডিল করেন। বিভিন্ন স্থানে তিনি ‘ইয়াবা সুমন’ নামেও বেশ পরিচিত।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সোমবার সকালে সেনাবাহিনীর অভিযানে তাকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী তাকে থানায় হস্তান্তর করে। তবারক আলী একটি মামলার আড়াই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া আরও একটি মারামারির মামলায় এজহারভুক্ত আসামি তিনি। এই দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।’

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন