রিকশাওয়ালাকে পেটানো।। অবশেষে সুইটি বহিষ্কার দল থেকে

# সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা।।
রিকশাচালককে পেটানোর অভিযোগে ঢাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সুইটি আক্তার শিনুকে অবশেষে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জোরে রিকশা না চালানোর অজুহাতে রিকশাওয়ালার ওপর চড়াও হওয়া নারী নেত্রীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বুধবার এক রিকশা চালককে প্রকাশ্যে মারধর করেন আওয়ামী লীগের নেত্রী সুইটি আক্তার শিনু। মারধরের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। এরই প্রেক্ষিতে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি। ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল হাই হারুন ও সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন তালুকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সুইটি গণমাধ্যমকে বলেন, যে ভিডিওটি ভাইরাল হইছে সেটি আমরা দেখেছি। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে সংগঠনের সবাই বসে তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রিকশাওয়ালাকে পেটানোর বিষয়ে সুইটি আক্তার ঢাকায় বিদেশি এক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে সুইটি বলেন, মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই ঘটনা নিয়ে ‘লজ্জিত’ জানিয়ে সুইটির ভাষ্য, আমি খুবই দু:খিত। আমার ভুল হয়ে গেছে। এমন কাজ করা আমার একেবারেই ঠিক হয়নি।
দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন সুইটি। তার মতে দল সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।
তবে সুইটির দাবি এই ভিডিও ভাইরাল করার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। দলের বাইরের কিছু মানুষ মারধরের ভিডিও করে তাকে বিপদে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করার অংশ হিসেবে ভিডিওটি নিয়ে রাজনীতি হয়েছে।
সুইটির দাবি ভিডিওর খণ্ডিত অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওতে যেটুকু দেখা গেছে তার আগে কিছু ঘটনা ঘটেছে তা নজরে আনা হয়নি।
মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, বাসায় আমার সন্তান আছে এবং চুলায় রান্না চাপানো আছে- এটা বলার পরও রিকশাচালক তার কথা না শুনে ধীরে ধীরে চালাচ্ছিলেন। এমনকি ভাঙ্গাচোড়া জায়গা দিয়ে রিকশা চালাচ্ছিলেন। এতে তিনি রিকশা থেকে পড়ে যান। এমতাবস্থায় মেজাজ হারিয়ে তিনি এমনটি করেন।এই ভিডিও তার সম্মানহানি করেছে দাবি করে সুইটি বলেন, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে আমি লজ্জার মুখে পড়েছি।