সিলেটে নিখোঁজ কলেজছাত্রী, সঙ্গে বান্ধবীর পরিবারও

gbn

জিবি নিউজ প্রতিনিধি//

দু’জনের বাড়ি একই গ্রামে। একই মাদরাসায় পড়েছেন। সেই সুবাদে গড়ে উঠে বন্ধত্ব। একে অন্যের বাড়ি যাতায়াত ছিল। এমনকি থাকাও হতো। জানুয়ারির শেষের দিকে হাবিবা জান্নাত তামান্না গিয়েছিলেন প্রাণের বান্ধবী তাছলিমা জান্নাতের বাড়ি। এরপর বড়বোনের অনুমতি নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু ১৪ মার্চের পর থেকে আর তার সাথে যোগাযোগ নেই তার বোনের। তারা তাছলিমার বাড়িতে ছুটে গেলে ওই পরিবারের সদস্যদের কাউকেই বাড়িতে পান নি। এমনকি, বাড়ির অন্যান্যরাও তাদের কোনো সন্ধান দিতে পারছেন না। তামান্না নিখোঁজ হওয়ার সাথে সাথে তাছলিমার গোটা পরিবার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন রীতিমতো তোলপাড় চলছে।


গত ২৬ জুন নিখোঁজ তামান্নার বান্ধবী, তাছলিমাসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার থানায় ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তার বড় বোন রাহেলা আক্তার।

 

 


তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তামান্নাকে তাছলিমা নিজের মা ও ভাইয়ের সহযোগিতায় গুম করে ফেলেছেন।


অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুড়ারবাজার ইউনিয়নের উত্তর আকাখাজনা গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের মেয়ে হাবিবা জান্নাত তামান্নার সাথে পড়ালেখার সুবাদে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে একই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আব্দুল বাছিতের মেয়ে তাছলিমা জান্নাতের। সম্পর্কটা এতই গাঢ় ছিল যে, প্রায়ই পরস্পরের বাড়িতে যাতায়াত, এমনকি থাকাও হতো।


তারই ধারবাহিকতায় গত ২২ জুনায়ারি তামান্না গিয়েছিলেন তাছলিমার বাড়ি। তার মা তামান্নার ভাই হায়াত আহমদকে মুঠোফোনে তাদের বাড়িতে কিছুদিন রাখার অনুরোধ করেন। এরপর ১৪ মার্চ রাত পর্যন্ত তামান্নার সঙ্গে মোবাইলে ভাই-বোনের যোগাযোগ থাকলেও ১৫ মার্চ থেকে তা বন্ধ হয়ে যায়। আরও দু-এক দিন অতিবাহিত হওয়ার পর তামান্না পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় ভাই বোন ও অন্যান্য স্বজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তারা ছুটে যান তাছলিমাদের বাড়িতে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, কাউকে কোনো কিছু না জানিয়ে তাছলিমা ও তার মা, ভাই-বোন অন্য কোথাও চলে গেছেন। কিন্তু তারা কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারেন নি।

 


তামান্নার বড় বোন রাহেলা আক্তার বলেন, ২২ জানুয়ারি সকালে তাছলিমার ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে হাবিবা আর ফেরেনি। আমার বোনকে উদ্ধারের জন্য নালিশ করেও লাভ হয়নি। এমনকি ইউনিয়ন পরিষদে বিচার দিয়েও লাভ হয়নি। উল্টো কটুকথা শুনতে হয়েছে। থানায় যেতে চাইলেও বিভিন্ন লোক বিভিন্নভাবে খরচপাতির ভয় দেখিয়েছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তাছলিমা ও তার মা আমার বোনকে গুম করেছে। তাকের উদ্ধারের জন্য আমি সমাজের সাহায্য চাই।


এ ব্যাপারে সিলেটভিউকে বিয়ানীবাজার থানার ওসি মো. আশরাফ উজ্জামান বলেন, আমরা তদন্ত চলছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আপাতত তদন্তের স্বার্থে আমরা এরচেয়ে কিছু বলতে পারছিনা।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন