সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||
আজ ১৭ মে, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালের এ দিনে দেশে ফেরেন তিনি। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা করে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ মে) বিকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে টিএসসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরে এসে শেষ হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ইউনিটের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
আনন্দ শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ, নব গঠিত ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ এবং গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স কলেজ শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে আজকের দিনে দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে তাঁর নির্বাসিত জীবনের ইতি ঘটে। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রায় ছয় বছর বিদেশে নির্বাসিত ছিলেন শেখ হাসিনা। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ওই দিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে একনজর দেখতে ছুটে আসেন লাখো মানুষ।
সব প্রতিকূলতা উড়িয়ে তৎকালীন কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হৃদয়ছোঁয়া ভালোবাসার জবাবে সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আজকের জনসভায় লাখো চেনামুখ দেখছি। শুধু নেই আমার প্রিয় পিতা বঙ্গবন্ধু, মা আর ভাইয়েরা এবং আরও অনেক প্রিয়জন। ভাই রাসেল আর কোনও দিন ফিরে আসবে না, আপা বলে ডাকবে না। সব হারিয়ে আজ আপনারাই আমার আপনজন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন