মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, ৪ লাখ মানুষ পানি বন্দি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি \

উজানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন করে কোন ভাঙ্গন না দিলে পুরানো ভাঙ্গন দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মনু ও ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে বাড়ছে ভিড়। বন্যায় দূর্ভোগে সবচেয়ে বেশী পরেছেন কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার মানুষ। জেলার ৭ উপজেলার ৪৭ ইউনিয়নের ৪৭৪ টি গ্রামের প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানি বন্দি রয়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকার অধিকাংশ বাড়ি ঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত মানুষ উঁচু স্থানে গবাদি পশু সহ আশ্রয় নিয়েছেন। অধিকাংশ গ্রামীন সড়ক তলিয়ে গেছে। আঞ্চলিক মহা সড়কের অনেক স্থানে পানি উঠেছে। বন্যার পানির তোরে ভেসে গিয়ে এ পর্যন্ত ২ জন মারা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, জেলার কুশিয়ারা ও জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু, ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে ভারত অংশে বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। ঝুকি পূর্ণ স্থান গুলোতে বালি বস্তা দেয়া হচ্ছে যাতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে না পারে। জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম জানান, বন্যায় জেলার ৭ উপজেলার ৪৭ ইউনিয়নের ৪৭৪ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র বাড়িয়ে ২০৫টি করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন সাড়ে ৬ হাজার বন্যার্ত মানুষ। গবাদিপশুর সংখ্যা ২শ’টি। মেডিকেল টিম রয়েছে ৭০টি। শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে ৪৬৫ প্যাকেট, রান্না করা খাবার ১২শ’ প্যাকেট, জিআর চাল ৪২২ টন, জিআর ক্যাশ ২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫‘শ টাকা, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ৬৫ হাজার পিস। বিশুদ্ধ পানি ২৪০টি ১০ লিটারের বোতল।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন