নবীগঞ্জে নদগ টাকা ও স্বর্ণলংকার নিয়ে দোকান কমচারী সাথে ৩ সন্তানের মা উধাপ! থানায় মামলা

gbn

নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ  প্রতিনিধি :: নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাশঁডর গ্রামে তিনসন্তানের জননী তার পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেছে! এদিকে শিশু সন্তানেরা তাদের গর্ভধারীনি মায়ের জন্য পথ চেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।

পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলা বাউসা ইউনিয়েনের বাশঁডর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মোঃ দুলাল মিয়া বিগত ১০ বছর পূর্বে এলাকর মুরাদপুর (স্নানঘাট) গ্রাম বাশঁডরের বাসিন্দা মো: ঠান্ডা মিয়া মেয়ে রোকসানা বেগম (২৫) পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এতে তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি ছেলে ও একটা কন্যা সন্তান রয়েছে।  তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই কাটছিলো। এর মধ্যে একই এলাকায় দুলাল মিয়া সুনামের সহিত বসবাসও করছেন।পরিবর্তিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার জন্য একজন কর্মচারী প্রয়োজন হয়।।সেই সুবাদে নিজ গ্রামের বাসিন্দা আজিম উদ্দিন মিয়ার পুত্র মেহেদী হাসান অপু।(২২)কে কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ করেন। সেই সুবাধে খাওয়া- দাওয়া ও প্রয়োজনীয় কাজে।সে তাদের বাসায় প্রায়ই 
আশা যাওয়া করতো। এনতাস্থায় টাকা পয়সা ও সোনা গহনার লোভে। দুলালের সহজ সরল স্ত্রী রোকসানা বেগমকে নানান প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের জ্বালা ফেলে অবৈধ প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তাকে ফাঁদে ফেলে। এই বিষয়ে সে তার স্বামীর কাছে স্ত্রী রোকসানা বেগম আমাকে কয়েকবার কর্মচারী অপু'র বিষয় অবগত করেন।
বাসায় একা পেলেই তাকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ইঙ্গিত দিত। পরিবর্তিতে কর্মচারী মেহেদী হাসান অপুকে  সাবধান করা হয়। এসে সে ক্ষোভে ক্ষিপ্ত হয়ে গত।তার (১২অক্টোবর) রায়হান(১০)কে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম তারা রুমে। তখন আমার স্ত্রী রোকসানা বেগম পাশের রুমে আমার দুই সন্তানকে নিয়ে সে ও ঘুমিয়ে ছিলো। ওই রাতে আনুমানিক ১২ঘটিকার সময় আমার যখন ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন পাশের রুমে যখন তাকাই তখন দেখি আমার স্ত্রী রুমে নাই!তখন আশেপাশে অনেক খোজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পায়নি। পরে আমার স্ত্রীর মুঠো ফোনে কল দিই, ফোনটাও বন্ধ পাওয়া যায়। প্রায় ঘন্টাখানেক পর আমার শ্বশুর বাড়িতে ফোন দিলে তারাও বলেন সেখানে যায়নি!
পরেদিন সকাল ৬টায় সন্দেহবসে কর্মচারী মেহেদী হাসান অপুর খোজ নিয়ে জানতে পারি সেও বাড়িতে নাই,পরে তার বাবা মাকে এই বিষয়ে অবগত করি। এতে তারা আমাকে বলেন, ধৈয্য ধরার কথা। আমার স্ত্রী রোকসানা বেগমকে ফিরিয়ে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। এছাড়া আমার বাসা তল্লাশি করে দেখি আমার নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, দুই ভরি স্বর্ণলংকার সহ দামী দামী মোবাইল ও অনেক কাপর-চোপর নেই। সে যাওয়ার সময় সাথে করে নিয়ে গেছে। যা আমার জীবনের এক মাত্র সম্বল ছিলো।
এদিকে, স্বামী স্ত্রী রোকসানা বেগমকে হারিয়ে ৩ সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। স্ত্রীর  অস্থিরতায় স্বামী নিজেই অস্তির। সে বারবার বলছে আমি জানিনা আমার স্ত্রী কোথায় আছে, কেমন আছে, আমি প্রশাসন সহ দেশবাসীর কাছে এই প্রতারণার বিচার চাই। আমি নিরুপায় হয়ে গত (১৩অক্টোবর) নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার স্ত্রীকে পেলাম না। বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ কামরুজ্জামান এর সাথে কথা হলে তিনি  বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। 

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন