শেখ হাসিনা-আব্দুল হামিদ-ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭২ জনের নামে মামলা

gbn

বগুড়ায় ঘটনার সাড়ে ১৪ মাসেরও বেশি সময় পরে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭২ জনের নামে হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।

গত বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন মো. আরাফ। তিনি বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। মামলায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা করা হয়েছে।

বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 
 

মামলায় আসামিরা হলেন—সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সাবেক আইটিসি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক এমপি ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, সাবেক এমপি ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাবেক নারী এমপি ডরোথী রহমান, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি খাদিজা খাতুন শেফালি, বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের স্বতন্ত্র সাবেক এমপিপ্রার্থী শাহাজাদি আলম লিপি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সামির হোসেন মিশু, সাধারণ সম্পাদক ডা. শাফি মহায়মেন, বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফি নেওয়াজ খান রবিন, বগুড়া জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বাদশা, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মানানের ভাই রাজু ওরফে এসি রাজু, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, কাউন্সিলর আব্দুল মতিন সরকার উল্লেখযোগ্য।

এ ছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর বেশ কজন চিকিৎসক, ক্লিনিক মালিককে আসামি করা হয়েছে। মামলায় বগুড়া সদর, সারিয়াকান্দি, গাবতলী, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, শাজাহানপুর, ধুনট, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জের অনেককেই আসামি করা হয়েছে।

 

মামলায় বাদী আরাফ অভিযোগ করেন, তিনিসহ একাধিক ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট দুপুর বগুড়া শহরের দত্তবাড়ি বড়গোলা সড়কে মিছিল নিয়ে পৌঁছলে সেখানে আগে থেকেই লাঠিসোঁটা, কাঠের বাটা, রড, হকিস্টিক, চাকু, চাপাতি ককটেল, বন্দুকসহ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনিসহ অনেকজন গুরুতর আহত হন। সে সময় তার শরীরে ৪৩টি গুলি বিদ্ধ হয়।

এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

 

তিনি বলেন, ‘পরে ছাত্রজনতা আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে বনানী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে আমাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে ছাত্ররা জরুরি ভিত্তিতে আমাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও আসামিরা চিকিৎসা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে বাধ্য হয়ে বাসাতেই চিকিৎসা নেই। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতন হলে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করি।


 

বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন