এ বছর আলোচিত নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। তবে এবারের পুরস্কারের জন্য বেশ আগ্রহ দেখিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি বিভিন্ন বক্তব্যেও তিনি একপ্রকার শান্তিতে নোবেল দাবিও করেছিলেন। কিন্তু কেন ট্রাম্পকে পুরস্কার দেওয়া হয়নি তার ব্যাখ্যা দিয়েছে নোবেল কমিটি।
মারিয়া কোরিনা মাচাদো নোবেল জেতার পর এক সাংবাদিক নোবেল কমিটিকে ট্রাম্পের ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ট্রাম্পকে নোবেল দিতে ট্রাম্পের নিজের কাছ থেকে এবং বিশ্বের অন্যান্য যেসব জায়গা থেকে চাপ এসেছিল, সেই চাপ তাদের পুরস্কার ঘোষণায় কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না।
জবাবে নোবেল শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান জোর্গেন ওয়াটনে ফ্রায়ডেন্স বলেছেন, দীর্ঘ ইতিহাসে নোবেল কমিটি এ ধরনের ক্যাম্পেইন ও মিডিয়ার উত্তেজনা দেখেছে। এছাড়া নোবেল কমিটির কাছে প্রতি বছর হাজার হাজার চিঠি আসে। কিন্তু নোবেল শুধু পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাজের ওপর নির্ভর করে এবং আলফ্রেড নোবেলের করা উইল অনুযায়ী দেওয়া হয়।
এছাড়াও নোবেলের জন্য মনোনয়নের শেষ তারিখ ৩১ জানুয়ারি। এ বছর নোবেলের জন্য ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, পাকিস্তান, আজারবাইজান, রুয়ান্ডা ও কম্বোডিয়ার সরকার। তবে এগুলো জানুয়ারির শেষ তারিখের পর জমা পড়ায় সেগুলো ২০২৬ সালের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত হবে। অর্থাৎ, ট্রাম্পের নাম ইতিমধ্যেই ২০২৬ সালের নোবেল আলোচনার তালিকায় রয়েছে।
নোবেল নিয়ে নিজের সর্বশেষ বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী তিনি ৮টি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন। তাই তারই নোবেল পাওয়ার উচিত।
তিনি বলেন, ওবামা নোবেল পেয়েছে কিছু না করে। তিনি পুরস্কার পেয়েছেন, কিন্তু তিনি জানেনও না কেন তাকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। ওবামা আমাদের দেশ ধ্বংস ছাড়া আর কিছু করেনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমি ৮টি যুদ্ধ বন্ধ করেছি। এমন কিছু আগে কখনো হয়নি। (নোবেল কমিটির) যা করা উচিত এখন তাই করতে হবে। তারা যা-ই করে ঠিক আছে। আমি জানি আমি নোবেলের জন্য যুদ্ধ বন্ধ করিনি। আ
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন