বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:-
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড এলাকায় টমটম ও সিএনজি ভাড়া নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ছাব্বির মিয়ার দাফন (৩ সেপ্টেম্বর) বুধবার সম্পন্ন হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৫ টায় তার জানাজার নামাজ রাধাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জানাজার নামাজে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা অংশ গ্রহণ করেন।
এদিকে, এখনও এই আলচিত সমালোচিত খুনের ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। পুলিশ উভয় গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে। দুপুরে নিহত ছাব্বির মিয়ার লাশ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। বিকালে তার লাশ গ্রামের বাড়ি রাধাপুর গ্রামে পৌছলে স্বজনদের কান্নায় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
নবীগঞ্জ উপজেলার এশিয়ার বৃহত্তর বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড এলাকার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের জামারগাও, রাধাপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আফজল মিয়ার সাথে পাশবর্তী কাকুড়া- করিমপুর গ্রামের টমটম চালক রাশেদ, সিএনজি চালক মোহাম্মদ আলী ও সিরাজুলের সাথে টমটম ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় গত সোমবার রাত ১০ টার দিকে। এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাধাপুর ও জামারগাও উভয় গ্রামের মানুষ মাইকিং করে প্রস্তুতি নিয়ে কাকুড়া ও করিমপুর গ্রামের কাছাকাছি আসলেই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষে দেশিয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ করে। এত সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের কম পক্ষে ৫০ জন আহত ও ছাব্বির মিয়া নামে এক কৃষক যুবক নিহত হন। এর মধ্যে ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, গতকাল বিকেলে নিহত ছাব্বির মিয়ার জানাজার নামাজে অংশ গ্রহণ করেন, হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জামায়াতের সিলেট মহানগর সেক্রেটারী মোঃ শাহজাহান আলী, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমীন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান শেফু, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান, নবীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আশরাফ আলী, দীঘলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ছালিক মিয়া, কুশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন