জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
কিভাবে টেস্ট খেলতে হয়, সেই সঠিক মানসিকতা দেশের ক্রিকেটারদের শিখতে হবে বলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফরা। আজ সংবাদমাধ্যমকে সভাপতি পাপন জানান, টেস্ট ক্রিকেটারদের টানা ১০ দিন খেলার মানসিকতার অভাব দেখে কোচিং স্টাফরা হতাশ।
সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে কোচিং স্টাফরা ছুটিতে ছিলেন। ছুটি শেষে গতকাল ঢাকায় আসেন প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ, ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স ও পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
আজ বিকেলে টেস্ট দল চট্টগ্রাম রওনা দেওয়ার কারণে তাড়াহুড়া করে তাদের সাথে বৈঠকে বসেন বিসিবি সভাপতি। কোচদের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে পাপন আজ বলেন, 'কোচরা আমাকে জানিয়েছে, টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করতে হলে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। কারণ বেশির ভাগ ক্রিকেটারেরই ১০ দিন খেলার মানসিকতা নেই। '
টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হকের সাথেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন পাপন। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ভুলগুলো জানতে দলের সাথে বসেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জয়ের নজির গড়ার পরও প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন ম্যাচ হারে টাইগাররা। পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাজে পারফরম্যান্স অব্যাহত থাকায় সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অবিস্মরণীয় টেস্ট জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী।
পাপন বলেন, 'টেস্ট পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। কোচিং স্টাফরা আমাকে শেষ চার-পাঁচটা টেস্ট ম্যাচের উদাহরণ দিল, যেখানে আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম, কিন্তু তা ধরে রাখতে পারেনি। এমনকি পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও ভালো প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করতে পেরেছি কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে হাল ছেড়ে দিই। প্রথম টেস্টটা আমরা মাঝে মাঝে ভালোই খেলি কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের মেলে ধরতে পারি না। আমাদের এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নয়তো টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের ভালো করা কঠিন হয়ে পড়বে। '
বিসিবি সভাপতি জানান, টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করার জন্য এখন এই ফরম্যাটেই বেশি মনোযোগ তাদের, 'একটি ভালো টেস্ট দল গড়ে তোলার জন্য আমাদের বড় পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু করোনার কারণে আমাদের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারিনি। ওয়ানডেতে আমরা খুবই ভালো দল, কিন্তু টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে আমরা ভালো দল নই। আমাদের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালো করতে হবে, সেই সাথে টেস্টেও মনোযোগ দিতে হবে। যেহেতু এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে, আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। '
পরিকল্পনার আভাস দিয়ে পাপন জানান, সারা বছর ধরে এখন টেস্ট ক্রিকেটাররা কৌশল ও অন্যান্য দিক নিয়ে কাজ করবেন। বিসিবি সভাপতির ভাষায়, 'এই টেস্ট সিরিজের পর আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাব। যারা টেস্ট দলে আছে, টেস্ট সিরিজের পর তারা ফিরে আসবে। এরপর আগামী সাড়ে তিন মাস কোনো খেলা নেই। তাদেরকে ক্রিকেটে ব্যস্ত রাখার পরিকল্পনা করছি আমরা। তারা তাদের কৌশল ও অন্যান্য দিক নিয়ে কাজ করবে এবং যেই ভুলগুলো তারা করে তা সংশোধন করবে। '
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন