আবদুল্লাহ আল মাসুম || জিবি নিউজ এডভাইজার (বাংলাদেশ) ||
পুরুষদের কামনা, নারীদের তুলনায় অনেক বেশী। তারা সর্বদাই কামভাব অনুভব করেন৷
পুরুষদের দেহে টেষ্টোষ্টেরন বিপাক হার, নারীদের তুলনায় ২০ গুন। (Wikipidea)
এ জন্যই তারা দ্রুত কামনা ভাব অনুভব করেন৷ একটা চমতকার যুবতী ও সুন্দরী মেয়ে পাশ দিয়ে যাবে, অথচ মনে সামান্য দোলা লাগবে না, কখনো শিহরনের একটি বাতাস ঢেউ তুলবে না, এরকম হবার নয়। চমতকার যুবকরও যুবতীদের হৃদয়ে শিহরন তোলে, এটাই প্রাকৃতিক ও সহজাত।
মনে একটু হালকা আনন্দ হবে, এটাই শ্বাশ্বত ও চিরন্তন৷ কিছু অনুভূতি তৈরী না হলে বরং সে অসুস্থ৷
পুরুষ ত্বরিত গতিতে কামভাব অনুভব করলেও,
নারী একবার হৃদয় ভরে আদর নিতে শিখে গেলে, বিজ্ঞান ও প্রকৃতি মতে সে ১৯ গুন কামুক ও আবেদনময়। কোনো পুরুষ কি কোনো নারীর সাথে পেরেছে?
নারী সদাই সম্মানের , অনেক বেশী আবেদনময় ও অনেক বেশী এনার্জি! নারী হলো শক্তি! প্রকৃত শক্তি!
অপরিচিত একজন মানুষ তার বস্ত্র হরন করবে,
এ রকম অপ্রথা বিয়ের নামে চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।
বিয়ের জন্য পূর্ব পরিচয় বন্ধুত্ব থাকা জরুরী। এটাই সভ্য বিশ্বের আধুনিক আচরন হওয়া উচিত। হৃদয়ে, শরীরের আনন্দ না পৌছালে তা নারী ও পুরুষের জন্য পাপ বটে! পাপ, সংশয়, দ্বিধা থাকলে,
সংগম থেকে চরম পুলক পাওয়া সম্ভব নয়৷ জীবনের প্রকৃত চরম স্বাদ থেকে নারী ও পুরুষ বঞ্চিত হয় যদি তা হৃদয়ে না পৌঁছায়!
জোড় করে কেন কেউ একটি নারীকে কষ্ট দেয়, ভোগ করতে চায়,আমি তা জানি না।
জোড় করে কোনো মজা আছে? স্ত্রীর ওপরও জোড় করা অন্যায়।
আদর ভালোবাসা ডুয়েট সং এর মতো৷
দুজনে এক তাল লয় সুরে না গাইলে,
সুমধুর হবে তা? অসম্ভব। কোনো মজা নাই।
হৃদয়ে গিয়ে যদি দেহের দোলা, না পৌঁছায়, তা পাপ।
যৌনতার আধ্যাত্ববাদের দিকটি বাঙালি স্বত্বা জানে না বা সেটাকে অনেক সময় ভুলে থাকে
পিটুইটারী গ্লান্ডের প্রচন্ড চাপে।
আধ্যাত্ববাদের জায়গাটি কি?
বলা হয়, সৃষ্টিকর্তা সকলের মাঝে বিরাজমান। বিশাল এক নূর, ছোট ছোট আলোতে হৃদয়ে হৃদয়ে অদৃশ্য রুহূতে বর্তমান।
সৃষ্টিকর্তা অদৃশ্য, রুহূুুও অদৃশ্য কিন্তুু আছে। উপলব্ধি করা যায়। দেখা যায় না।
দুটো রুহের ছোট দুটি নূর যখন দেহের মিলনে
সংযুক্ত হয়, আসলে তা, স্রষ্টারই দুটো নূরের মিলন সমতূল্য৷ অমতে বা জোড় করে দেয়া বিয়ে আসলে বেশ্যাবৃত্তি৷ ধর্ষনের সমতূল্য৷ সেখানে পুরুষ বা নারীটি ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌনকর্ম করতে বাধ্য হয়, মেনে নিতে বাধ্য হয়, শরীরের ওপর কারো দখল। এটি রীতিতে সঠিক হলেও, নীতিতে ভুল। ভালোবাসা থেকে, সম্মতি হতে সংসার শুরু করুন৷ সেটি স্বর্গের মতো হবে৷ জীবন সুমধুর হবে।জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত হবে হানিমুন৷
অভিভাবক নির্ধারিত বিয়ে যেমন - ফুল না হয়ে কাটা হতে পারে, প্রেমের বিয়েও তাই হতে পারে। মানুষ চেনা খুব কঠিন।
অনেক সময় রুচি ও চিন্তার ফারাকের কারনে
ভালো দুজন মানুষও একত্রে না থাকতে পারে,
তবে, নতুন করে জীবন সাজালেও মনে রাখবেন, পরষ্পর সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করবেন না ও উপসংহার কে ও সুন্দর করবেন। কদর্য্য করবেন না। ভালো মানুষ হওয়া সত্যি খুব কঠিন কাজ। নিজের ষ্ট্যান্ডার্ড থেকে নামবেন না, যদিও অনেকে আপনাকে নীচে নামতে বাধ্য করতে চাইবে!
পৃথিবী জুড়ে আজকাল সেক্স করার জন্য বিয়ের চল আর নেই। আমাদের সাব কন্টিনেটে বিয়ে জিনিসটা টিকে থাকুক, আমিই তা সর্বপ্রথম চাইবো। এতে কাচ্চি সাপ্লাই দেয়া যায়, লাইটিং, ভিডিও ক্যামেরা ভাড়া হয়, বিয়ের পর ক্যাচাল লাগলে পুলিশ আইনজীবিদের বেবিরা আইফোন উপহার পায়। তাছাড়া, সমাজে একটি যে কোনো সিষ্টেম থাকা তো ভালো! একটি সাইনবোর্ড, সকলেরই প্রয়োজন। এতে, ধর্মীয় অনুশাসন মানা হয়, এটাই সব চেয়ে বড় কথা৷ পৃথিবীতে ৪২০০ ধর্ম আছে। সব ধর্মেই কি বিয়ে আছে কি না, জানি না। তবে, ৩/৪০০ বছর আগেও জগতে বিয়ে ছিলো না। কিন্তু, বাচ্চা হতো নিয়মিত। মানুষ গুহায় বাস করতো। নারী ও পুরুষ পরষ্পরকে উপভোগ করতে ছাড়ে নি আদিকাল হতে।
জীবনে, এতো ব্যক্তিত্ববান, এতো সুন্দর, এতো মিষ্টি, এতো চমতকার হওয়া উচিত যে, যে কোনো নারী তোমার বাহূ বন্ধনে নিজেকে রাখার জন্য আকুল ও ব্যকুল থাকে। ভোতরে ভেতরে বকুলের মতো ফোটে!
আমাদরে দেশে পুরুষদের ৩ টি বড় সমস্যা৷
বীর্য্য স্খলন শেষ হয়ে গেলে, সে নারীটিকে অবহেলা অবজ্ঞা করে। নারীটি ব্যতীত সে অসম্পূর্ণ ছিলো, তা সে ভুলে যায়। যৌনতা কে নারীরা সরাসরি মন্দ কাজ মনে করে ও পুরুষরা তলে তলে খারাপ মনে করে। অদ্ভুদ এক ভন্ড জাতি আমাদের!
তীব্র যে প্রয়োজন, প্রিয়জনের মাধ্যমে
প্রশমিত ও উত্তাল সমুদ্রকে প্রশান্ত করার ব্যবস্থা পত্র প্রকৃতি দিয়েছে, তাকে
এক দিকে অস্বীকার করতে পারে না, নারী পুরুষ কেউই৷ অপরদিকে সমাজ ও রক্ষনশীল
চেতনার কারনে জীবনের চমতকার আশীর্বাদকে , নন্দনত্ববকে বাকা ও মন্দ চোখে দেখে। দৃষ্টিভঙ্গী বদলানো উচিত।
অন্যের সেক্স এপীলকে মানবিক চোখে দেখুন। পিটুইটারি গ্রন্থি, সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন। আমি আপনি নই।
কারো ইচ্ছার বাইরে তাকে চুমু ও খাবেন না কখনো। এটি অপরাধ। কারো জন্য হৃদয় সিক্ত হলে, নিয়মিত তাকে চুমু খাবেন। না হলে, সেটা অপরাধ। কাছে গিয়ে না পারলে, শয়নে স্বপনে জাগরনে কল্পনায় চুমু খাবেন। কিন্তু, ঝগরা ঝাটি, অশান্তি বা কখনো কারো মনের ওপর জোড় করবেন না।
দার্শনিক কবি মহান প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন -
দেহের চেয়ে হৃদয় বড়-
আগের মন এর সাধন করো।
পুরুষ কামুক৷ তার কামনাকে আপনার সৃষ্টিকর্তাও পজেটিভলি পুরষ্কৃত করেছেন।
জান্নাতুল ফৈরদৌসে গেলে, ৭০ টি হূর দিবেন প্রমিজ করেছেন। নিশ্চই তিনি ভঙ্গ করেন না অঙ্গীকার। মরে গেলে ৭০ টি হূর সুনিশ্চিত ভাবে পাবো, এটি আমার এক দারূন আনন্দ। আমি আমার পুরো জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে ইবাদত হিসেবে গ্রহন করেছি।
অধিকার থাকা স্বত্বেও আমি আমার সাবেক স্ত্রীর ওপরও কখনো তার মনের ওপর জোড় করি নি৷ আমি Happily separated. তাকে আমি প্রচন্ড ভালোবাসতাম। শখের বসে অনেক তারকা বানিয়েয়েছি। তাকেও বানিয়েছিলাম। ৭ হাজার টাকার ঘর থেকে তিনি ৭২ হাজার টাকার সুইমিং পুল সহ বাড়ী ভাড়া দিয়ে নিজের গাড়ী চালিয়ে চলেন, এটা নিশ্চই তার শ্রম ও অধ্যাবসায়ের ফসল, হয়তো তাকে তৈরী করা, গাইড করা ও বড় করার জন্য উছিলা হিসেবে আমার সময় শ্রম মেধা ও কানেকশান দরকার হয়ে ছিলো!
কিন্তু, তিনি যোগ্য ও পরিশ্রমী বলেই প্রচুর ঘাম ঝরিয়ে এ অবস্থানে আসতে পেরেছেন। যার জীবন সে নিজের মতো উপভোগ করবে, এতে আসলে বাধা দেয়ারও কিছু নেই৷
মানুষের অনেক টাকা হয়ে গেলে তিনি অবশ্যই জগতের সব চেয়ে অমূল্য জিনিস স্বাধীনতা আশা করেন। তিনি সমগ্র বিশ্বে যখন তখন বেড়াবার স্বাধীনতা চেয়েছেন। শুকরিয়া, পেয়েছেন। আমাকে দূরে ঠেলে দিয়েছেন৷ ভালোবাসার মানুষ আনন্দে আছেন, ভালো আছেন, এটাও কম ব্যপার নয়। আসলে, কার জীবনের বাক কোথায় ঘুরবে, বলা মুশকিল! জীবন নাটকের নাট্যকার আমি নই। স্রষ্টা নিজেই৷
টীনেজ ছেলে মেয়েরা পর্ন এ আসক্ত হয়ে পড়েছে ভয়ংকর ভাবে।মুক্ত ইন্টারনেটের বিশ্বে এটা ঠেকানোর কোনো উপায়ও কারো জানা নেই৷ অতিরিক্ত মাষ্টারবেশান তাদের শরীরের ভয়ংকর ক্ষতি ডেকে আনছে।
অনেক অল্প বয়েসী মেয়ে আবেগে যৌনমিলন করে কুমারী মা হয়ে পড়ছে, আত্মহত্যা ছাড়া তার বাঁচবার আর কোনো পথ থাকে না। সচেতনতার অভাবে তাদের সম্ভাবনাময় জীবন নষ্ট হয়৷ আমাদেরকে খোলা মনের হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
অনেকে, যৌনতার তীব্র শিহরন পেতে, কৌতূহল মেটাতে পেশাদার মেয়েদের সেবা গ্রহন করছে। এরা আপনারই সন্তান, ভাই, প্রেমিক বা স্বামী। অজান্তে তারা মরনঘাতী ব্যধীকে শরীরে নিয়ে আসছে। সেক্স এডুকেশান পৃথিবীর সব উন্নত দেশের পাঠ্য পুস্তকে কারিকুলাম। আমাদের দেশে মিনিমাম সচেতনাতা বাড়িয়ে তাদের জীবনকে রক্ষা করার জন্য আমাদের উদার নৈতিক হতে হবে।
যা জীবনের অনিবার্য্য প্রয়োজন ও অংশ, তা লুকিয়ে সিন্দুকে রাখার প্রয়োজন নেই৷ সামান্য একটি করে চাপ্টারে স্বাস্থ্য সচেতনতা হিসেবে তা থাকা উচিত।
সেক্স শব্দটি শুনলেই বাঙালি আতকে ওঠে। কেন ওঠে, তা জানি না। ফেসবুক খুলতে গেলেও সেক্স লিখতে হয়, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে সেক্স মেল না ফিমেল লেখা থাকে। সেক্স একটি সাধারন শব্দ। একে ঘৃনা করা বাদ দিন। একে ভয় পাওয়া বাদ দিন। এই শব্দটি শুনে ভ্রূ কুচকানো বাদ দিন। আমাদের ও আপনাদের চৌদ্দ পুরুষ সেক্স করেছে বলেই আমরা সুন্দর পৃথিবী দেখতে পেয়েছি। তাদেরকে সেক্স করার জন্য ধন্যবাদ।
সমাজের কিছু মানুষের মন কিন্তু কদর্য্য।
এখানে বাবা মেয়েকে ধর্ষন করে।
এখানে ভাই, বোনকে ধর্ষন করে।
এখানে, মামা, ভাগিনি বিয়ে হয়।
এখানে বাসে তরুনীকে ধর্ষন করে চলতি বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়৷
এখানে, পাজামার ফিতা না খুললে এসিড মারা হয়।
আমরা সভ্য কবে হবো?
আমরা শিক্ষিত কবে হবো?
আমরা ভদ্র ও নম্র কবে হবো?
থার্টি ফাষ্ট নাইটে শিক্ষিত ছেলেরা বাধনের কাপড় টেনে ছিড়ে ফেলেছে।
ভুলে গেছে তো জাতি? নাহ?
অথচ, ইউকে তে একটি মেয়ে রক ষ্টারের গান শুনে উত্তাল হয়ে সম্পূর্ন নগ্ন নৃত্য করলেও তার নিরাপত্তা আছে। বড় জোড় হেসে দুয়েকজন ছবি তোলে। তার ওপর বন্য ষাড়ের মতো ঝাপিয়ে পড়ে না। ভদ্র জাতি কারা?
বাধন মেয়ে খারাপ, হয়তো বলবেন, বিদেশী থার্টি ফাষ্ট নাইটে কেন গেলো।
আচ্ছা, পহেলা বৈশাখে বা বইমেলায় বিদ্যুত চলে গেলে অনেক তরুনীর স্তনে
অপরিচিত হাত গুলো যখন চাপ দেয়, এরা কারা?
পুরুষের কামনা থাকা বা অনুভূতি থাকার মানে কি এই যে, কারো প্রতি অন্যায় ও অন্যায্য আচরন করতে হবে?
আমাদের শিক্ষার কারিকুলামে নম্রতা, ভদ্রতা, মানবিকতা, সদাচার, কমিটমেন্ট, সিনসিয়ারিটি, এসব শেখায় না। দুঃখজনক। এগুলো, প্রকৃত মানুষ হবার জন্য একান্ত প্রয়োজন। জীবনে সুস্থতার জন্য সামান্য সেক্স এডুকেশানও খুবই দরকার। নতুবা,
অনেক মানহীন দ্রব্য, যেমন জোকের তেল, কম দামী মালিশ, ও সাইজ বর করার জন্য নানান ধোকাবাজির পাল্লায় পড়ে টীনেজ, এমন কি বড়োরা। এবং, এক সময় ভয়ংকর ক্ষতির স্বীকার হয়।
ইটালির রেডিওতে নিয়মিত প্রচার হয়,
বয়েস ১৭ হলে, পকেটে সুরক্ষা রাখুন,কাজে লাগুক বা না লাগুক। এটি এক প্রকার সচেতনতা।
ধর্ষন সমাজে কমাতে যে পদক্ষেপ গুলো নেয়া যেতে পারে -
১. সেক্স এডুকেশান বিষয়টিকে স্বাস্থ্য সচেতনতায় সংযুক্ত করা৷
২. কবিতা, গল্প গান মানুষের হৃদয়কে সুশীল করে, এসবে অনুরক্ত করা জেনারেশনকে।
৩. নৈতিক শিক্ষায় উন্নীত করা।
৪. বয়েস ২৫ এর পূর্বে সন্তানকে বিয়ে দেওয়া।
৫. ধর্ষনের শাস্তি কঠিনতরো করা।
৬. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি রেসপেক্টফুল পারসনদের পুরষ্কার দেয়া৷
৭. মনস্তাত্বিক সৌন্দর্য্যের জন্য নিয়মিত পাঠাভ্যাস ও কর্মশালা আয়োজন।
৮. প্রেম করো, জোড় করো না - স্লোগানকে জনপ্রিয় করা৷
৯. মানবিক ও উদারনৈতিক, খোলা দৃষ্টিভঙ্গী অর্জন।
একটি নারী, একটি পুরুষকে রাজপথে চুমু খেলে মানুষ তাদের ঢিল ছোড়ে,
পুলিশ ডিষ্টার্ব করে, সমাজহিতৈষী টেকো মস্তান রা বাগড়া দেয়।
প্রেম তো শ্বাশত। প্রেম তো সুন্দর। প্রেম তো দূর্দান্ত৷ ভালোবেসো। ঘৃনা করো না।
পৃথিবীর উন্নত শিক্ষিত ভদ্র ও চমতকার রাষ্ট্রগুলোতে কেউ কাউকে আলিঙ্গন করলে, কপালে চুমু খেলে,
চারিপাশের পথচারীরা গোল হয়ে হাত তালি দেয়৷
পৃথিবীটা ভালোবাসার আবাস স্থল হোক। ঘৃনার নয়। হিংসার নয়৷
আমি চুমু খেলে ভালো লাগে, অন্য কেউ খেলে হিংসা লাগে, এটা ঠিক নয়। এটা ঈর্ষা। হিংসা, ভালো গুন নয়।
আমি এয়ারপোর্টে বিদায় মুহুর্তে অনেকককে লাজ শরম ভুলে কপালে ঠোটে চুমু খেতে দেখেছি। জোড়ে আলিঙ্গন করতে দেখেছি। আমি খুশী হয়ে গেছি। মনে মনে হাত তালি দিয়েছি। এটা বাংলাদেশে হয়েছে,এটা খুব স্বাভাবিক চিত্র।
মানুষ এখনো মানুষকে ভালোবাসে।
এর চেয়ে দারূন চমতকার ব্যপার জগতে কি হতে পারে?
আমাদের দেশ গ্রীষ্মপ্রধান দেশ।
এখানে আম পাকার মতো গরমে তারা দ্রুত গরম বোধ করে। তাদের এই শিহরিত হবার অনুভূতিতে প্রকৃতির দায় বেশী। সমস্ত টীনেজ ছেলে মেয়ের বাবা মার উচিত তাদেরকে একজন ভালো মনের ছেলে বন্ধু বা মেয়ে বন্ধু যেনো মেইনটেইন করে সে ব্যপারে উতসাহ দেয়া। এতে, বন্ধুটি তাকে দেখে রাখবে৷ পাহাড়া দেবে। চব্বিশ ঘন্টা আপনার পক্ষে ছেলে মেয়েকে পাহাড়া দেয়া সম্ভব নয়। খারাপ ও ক্ষতিকর বন্ধু থেকে বাচবে আপনার সন্তান৷
সময়ের সাথে অনেক সময় ভালো লাগা বদলাতে পারে!
পরষ্পরের কাছকাছি যেয়ে নিজেদের ভাবনার তফাত, রুচীর তফাত আবিষ্কার করতে পারে, সম্পর্কের শুরু যদি চমতকার স্বপ্নময় হয়,উপসংহার যেনো কদর্য্য না হয়!
ভালোবাসায় বিচ্ছেদ ঘটলেও তাকে সম্মান করবেন তাহলে, আরো অনেক অভূতপূর্ব ভালোবাসা নিজে থেকে আপনাকে ধরা দেবে।
সহনশীল ও কোমল হবেন৷
আপনার বাসায় আপনার ছেলে মেয়ের বন্ধুকে আসবার অনুমতি দিন। নিজে হাতে রেধে খাওয়াবেন। এতে, তারা পার্কে যাবে না। হোটেলে যাবে না। রেষ্টুরেন্ট এর অনেক বিল বেচে যাবে।
আপনার ছেলে মেয়ে উল্টো নিরাপদ থাকবে। তাদের বন্ধুদের সাথে আপনিও বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন
কেউ স্বেচ্ছায় কিছু দিলে, তা উপহার।
চেয়ে পেলে, তা দাবী।
অনুরোধ করে নিলে তা অনুগ্রহ।
কিনে নিলে, তা বিনিময়।
না বলে নিলে তা চুরি।
জোড় করে নিলে, ডাকাতি।
দিলেও না নেয়া তা ব্যক্তিগত মর্জি বা
একান্ত নিজস্ব অভিমত।
ভালোবাসা দিয়ে জয় করলে তা বীরত্ব ও কৃতিত্ব।
বিয়ে হলো মানুষের তৈরী আইন।
প্রেম হলো প্রকৃতির তৈরী আইন।
দ্বিতীয়টা চিরন্তন৷
পুরুষ ও মহাপুরুষের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে -
োনের চেয়ে মন যাদের সহস্রগুন বড়, তারাই মহাপুরুষ।
( ওপরের লাইনের প্রথম শব্দ, শূন্যস্থান মহাপ্রান ধ্বনী দ্বারা পূর্ন করুন)
সকলের কপালে ভক্তি চুম্বন!
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন