তিনদিনের অতিবৃষ্টিতে ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায় ফসলের ব্যপক ক্ষতি

ঝিনাইদহ প্রতিরিধি ||
গত তিনদিনের অতিবৃষ্টিতে ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার অধিকাংশ ফসলের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে, ভেঙ্গে পড়েছে গ্রাম এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক কাচা ঘরবাড়ি ভেসে গেছে ৫০টি বিল–বাওড় আর পুকুরের মাছ। সেই অনন্ত ৫০০টি কাঁচা পাকা রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঘর হতে বাহির হতে পারছে না খেটে খাওয়া মানুষ। অতি কষ্টে কাটছে তাদের জীবন। অতিবৃষ্টিতে ঝিনাইদহের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি কম।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিবৃষ্টিতে অতি বর্ষনের কারণে হাজার হাজার হেক্টর ধানসহ বিভিন্ন সবজী ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে,প্রায় ৫ শতাধিক কাঁচা ঘর–বাড়ী ভেঙ্গে গেছে। ভেসে গেছে পুকুে জলাশয়সহ বাওড়সহ শত শত পুকুরের মাছ। সাধুহাটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ডালু জানান, ইউনিয়নের রংকিরা, েেগাবিন্দপুর, আসাননগরাসহ কয়েকটি গ্রামের শতাধিক ঘর–বাড়ি অতি বৃষ্টিতে ভেঙ্গে পড়েছে। গ্রামের ছোট রাস্তাগুলোতে পানির ওঠার কারণে ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে। গ্রামের ছোট কাঁচা রাস্তাগুলো অতি বর্ষনের কারণে ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে গেছে। জেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, তিনদিনের অতিবৃষ্টিতে জেলার প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাড়ে হাজার হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষেত, ৪০ হেক্টর জমির মরিচ (ঝাল) ক্ষেত, ৩০ হেক্টর জমির বেগুন, সিমসহ শাক ক্ষেত ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই মুহুর্ত থেকে যদি বৃষ্টি থেমে যায় এবং এসব ক্ষেত থেতে পানি নেমে গেলে ধান বা সবজি ক্ষেতের তেমন কোন ক্ষতি হবে না। কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান গত তিন দিনের বৃষ্টিতে আমন ধান ও শীতের সবজির ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে তাদের অনেক দিন অনাহারে অর্ধহারে কাটাতে হবে।