পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সহিংস বিক্ষোভ, নিহত ৮

gbn

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে চার দিন ধরে চলা সহিংস বিক্ষোভে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) পাকিস্তানি কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানায়। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত তিন পুলিশ সদস্য ও ৫ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে রয়টার্সকে জানিয়েছে ইসলামাবাদের দুজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

 

বিক্ষোভের পূর্ণাঙ্গ চিত্র এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার (২৯ অক্টোবর) হাজারো মানুষ পার্শ্ববর্তী শহর থেকে আঞ্চলিক রাজধানী মুজাফফরাবাদে জমায়েত হলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকেই অঞ্চলটিতে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এখনো থামেনি। বিক্ষোভের জেরে সোমবার থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য, স্কুল ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে বলে কর্মকর্তারা ও পাকিস্তানি টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

 

বুধবার (১ অক্টোবর) মুজাফফরাবাদ থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, দাঙ্গা পুলিশ একটি সেতুর ওপর টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এ সংঘর্ষ তদন্তে রাজনীতিকদের একটি কমিটি গঠন করেছেন ও বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার সবসময় আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সমস্যার সমাধানে প্রস্তুত।

কমিটির সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেন, আমরা আশা করছি আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করতে পারবো।

 

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ

কাশ্মীরের নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলোর জোটের নেতা শওকত নবাজ মীর বিক্ষোভের আগেই জানিয়েছিলেন, এ আন্দোলন মূলত রাজনীতিবিদ, আমলাসহ শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের ভোগ করা বিশেষ সুযোগ-সুবিধার বিরুদ্ধে।

তিনি স্থানীয় ইউটিউব সংবাদমাধ্যম দ্য কাশ্মীর লিংককে বলেন, যখন আমরা বলি হাসপাতালে ওষুধ চাই, তখন তারা (রাজনৈতিক নেতা ও আমলারা) বলেন, অর্থ নেই। অথচ বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য তাদের কাছে অর্থ থাকে।

 

আরেকটি বড় অভিযোগ হলো, কাশ্মীরের আইনসভায় পাকিস্তানের অন্যান্য অঞ্চলের প্রতিনিধিদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলো। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এ আসনগুলো ব্যবহার করে আঞ্চলিক সরকারকে বসানো বা হটানো হয়।

গত বছর আজাদ কাশ্মীরে একই ধরনের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শরীফ তাদের বেশিরভাগ দাবির ভিত্তিতে ২ হাজার ৪০০ কোটি পাকিস্তানি রুপির অনুদান অনুমোদন করেন। এর মধ্যে আটা ও বিদ্যুতের দামে ভর্তুকি ছিল অন্যতম।

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ চলে আসছে। বর্তমানে উপত্যকাটির দুটি অংশ পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের পৃথক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা অংশটি অনেকের কাছেই আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিত।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন