ভারতে মৃত্যুর পর কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গার মরদেহ দেশে পৌঁছলে হাজারো শোকসন্তপ্ত মানুষের ভিড়ে বৃহস্পতিবার সকালে জোমো কেনিয়াটা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে সব ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ হয়ে যায়।
সকালে ওডিঙ্গার মরদেহ পৌঁছনোর পরই হাতে ডালপালা ও তালপাতা নিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে বিমানবন্দরের সীমিত এলাকায় ঢুকে পড়ে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনতার এই ভিড়ে নিরাপত্তাজনিত কারণে বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয় এবং প্রায় দুই ঘণ্টা পর কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়।
অপ্রত্যাশিত ভিড়ের কারণে ওডিঙ্গার মরদেহের জনসম্মুখে প্রদর্শনের স্থান সংসদ ভবন থেকে সরিয়ে নাইরোবির মোই আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক, বিমানবন্দর সংলগ্ন মহাসড়ক, লি ফিউনারেল হোম এবং সংসদ ভবনের আশপাশে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়।
একজন শোকাহত বলেন, ‘আমি সকাল ৬টা থেকে এখানে আছি। আমরা বাবাকে (ওডিঙ্গার ডাক নাম) স্বাগত জানাতে এসেছি। এখনো দেখতে পাইনি, কিন্তু দেখা না হওয়া পর্যন্ত ফিরব না।
আমরা এতিম বোধ করছি—উনি আমাদের পিতা।’
রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুক্রবার নাইরোবির ন্যায়ো ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে, আর শনিবার মরদেহ নেওয়া হবে পশ্চিম কেনিয়ার লেক ভিক্টোরিয়ার তীরে অবস্থিত তার রাজনৈতিক ঘাঁটি কিসুমুতে।
তার নিজ খামারবাড়ি বোনডোতে (কিসুমু থেকে প্রায় ৬০ কিমি দূরে) রবিবার তাকে দাফন করা হবে।
ওডিঙ্গার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তার ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই দাফন সম্পন্ন করা।
৮০ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে ভারতের কোচির কাছে সকালে হাঁটার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দেবমাথা হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
কেনিয়ায় সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট রুটো জানিয়েছেন, ওডিঙ্গাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেওয়া হবে।
ওডিঙ্গা দীর্ঘ বছর ধরে কেনিয়ার বিরোধী রাজনীতির অন্যতম মুখ ছিলেন এবং তিনি পাঁচবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন—সর্বশেষ তিন বছর আগে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন