যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিতে নিহত রক্ষণশীল অ্যাকটিভিস্ট চার্লি কার্কের স্ত্রী এরিকা কার্কের হাতে মরণোত্তর ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ তুলে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে আয়োজিত এক আবেগঘন অনুষ্ঠানে ট্রাম্প দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা তুলে দেন কার্কের স্ত্রীর হাতে। বেঁচে থাকলে দিনটি হতো কার্কের ৩২তম জন্মদিনের মুহূর্ত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কার্কের বাবা-মা রবার্ট ও ক্যাথরিন কার্ক।
ছেলের মৃত্যুর পর প্রথমবারের মতো তাদের প্রকাশ্যে দেখা যায়। তাদের সঙ্গে ছিলেন চার্লির স্ত্রী এরিকা কার্ক, যিনি এখন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এরিকার পাশে দাঁড়িয়ে নীরবে শ্রদ্ধা জানান। পুরো রোজ গার্ডেন তখন নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে।
উপস্থিত অতিথিদের অনেকে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।
সেনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন অনুষ্ঠানের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে কার্কের বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন। তিনি লিখেছেন, ‘এই শোকের ভার কল্পনারও বাইরে।’
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ চার্লি কার্কের স্মরণে একটি শ্রদ্ধাবার্তা প্রকাশ করা হয়, যেখানে তার রাজনৈতিক অবদান ও তরুণ প্রজন্মের ওপর প্রভাবের কথা উল্লেখ করা হয়।
চার্লি কার্কের মৃত্যুর পর থেকেই তাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এক নতুন রক্ষণশীল ঐক্য। তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী ছাত্র আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন