যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ভেনিজুয়েলার নেতা নিকোলাস মাদুরোকে লক্ষ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মাদুরো ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে বড় ধরনের ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি সব কিছু প্রস্তাব করেছেন, জানেন কেন? কারণ তিনি (মাদুরো) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গরমিল করতে চান না।’ এই বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রাম্প অশ্লীল চার-অক্ষরের ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেন।
ওয়াশিংটন মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদকচক্র পরিচালনার অভিযোগ এনেছে এবং অঞ্চলটিতে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্টিলথ যুদ্ধবিমান এবং সাতটি মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ।
ভেনিজুয়েলাকে অন্তত ছয়টি সন্দেহভাজন মাদক পাচারকারী নৌযানগুলোতে মার্কিন বাহিনী হামলা চালায় এবং এতে ২০ জনের বেশি নিহত হয়।
ট্রাম্প জানান, ‘আমরা একটি সাবমেরিনে আঘাত করেছি, যেটি বিশাল পরিমাণ মাদক পরিবহনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, হামলায় কেউ বেঁচে আছে কি না তা এখনই নিশ্চিত নয়। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ দেয়নি যে যাদের ওপর হামলা হয়েছে তারা সত্যিই মাদক পাচারকারী ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ, এমনকি তারা যদি প্রকৃতপক্ষে অপরাধীও হয়।
এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বি-৫২ বোমারু বিমান ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনিজুয়েলার উপকূলে কয়েক ঘণ্টা টহল দেয়। এই তথ্য নিশ্চিত করে বিমান ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরিডার২৪। মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, এই মহড়া যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক প্রস্তুতি এবং হুমকি প্রতিরোধের অঙ্গীকারের প্রতীক। এই সামরিক তৎপরতায় কারাকাসে উদ্বেগ বেড়েছে।
অনেকে মনে করছেন, ওয়াশিংটনের লক্ষ্য আসলে ভেনিজুয়েলায় সরকার পরিবর্তন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন