সেভিয়ার বিপক্ষে কঠিন এক জয়ে লা লিগার শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার ওপর চাপ ধরে রাখল রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচেই রিয়ালের জার্সিতে এক ক্যালেন্ডার বছরে ৫৯ গোল করে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
ম্যাচের প্রথমার্ধে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি রিয়াল। তবে বিরতির সাত মিনিট আগে এগিয়ে যায় জাবি আলোনসোর দল।
রদ্রিগোর নেওয়া ফ্রি-কিক থেকে লুসিয়েন আগুমেকে টপকে হেডে বল জালে পাঠান জুড বেলিংহ্যাম।
সেভিয়া সমতায় ফেরার চেষ্টা করলেও বিরতির পর তাদের কাজ আরও কঠিন হয়ে যায়। বেলিংহ্যামের ওপর ফাউলের কারণে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মার্কাও। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ায় চাপে পড়ে যায় সেভিয়া।
এই ম্যাচে এমবাপ্পের জন্য সময়টা সহজ ছিল না। প্রথমার্ধে তিনি কোনো শটই লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। বিরতির পর একটি শট সরাসরি সেভিয়ার গোলরক্ষক ওডিসিয়াস ভ্লাখোদিমোসের হাতে যায়। এরপর বাঁ দিক থেকে ঢুকে নেওয়া শট পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়, আরেকবার হেডে ক্রসবারে লাগে বল।
এদিকে পাল্টা আক্রমণে সেভিয়াকে ম্যাচে ফেরানোর সুযোগ এনে দেন আইজ্যাক রোমেরো। তবে দুটি ভালো সুযোগেই তাঁকে গোল করতে দেননি থিবো কোর্তোয়া।
শেষ পর্যন্ত ৮৬তম মিনিটে স্বস্তি পায় রিয়াল। রদ্রিগোকে বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় তারা। স্পট-কিক থেকে শান্ত মাথায় গোল করে রোনালদোর ৫৯ গোলের রেকর্ডে পৌঁছে যান এমবাপ্পে।
জন্মদিনে এই গোলটি তার জন্য আরও বিশেষ হয়ে ওঠে।
ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ টিভিকে এমবাপ্পে বলেন, ‘আজ আমার জন্মদিন। জন্মদিনে, তাও আবার স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে পারাটা দারুণ অনুভূতি। বছরটা ভালো ফল দিয়ে শেষ করাই ছিল লক্ষ্য। এই রেকর্ড অবিশ্বাস্য। ক্রিস্টিয়ানোর মতো করতে পারা আমার জন্য বড় সম্মান।’
শেষ দিকে বেলিংহ্যাম ফাউলের শিকার হলে রিয়াল আরেকটি পেনাল্টি পায়। এতে এমবাপ্পের সামনে রেকর্ড ভাঙার সুযোগ এসেছিল। তবে ভিএআর দেখে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়।
এই জয়ে ১৮ ম্যাচ শেষে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল। এক ম্যাচ কম খেলে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন