হুসনা খান হাসি॥
======================
তোমার জন্য হই “লাবণ্য”,
বুদ্ধিদীপ্ত, আত্মসম্মান বোধে দৃঢ়।
ভালোবাসি, তবু প্রশ্ন করি,
আমার নামের পাশে তোমার জায়গা কতটুকু?
তোমার জন্য হই “অমিত”,
যুক্তির হাওয়ায় উড়ি মনের ডানায়।
তবু প্রেমের আকস্মিক ঝড়ে
চোখ রাখি তোমার চোখে,একটুখানি নত হয়ে।
হই “নজরুলের বিদ্রোহী”—
শিকলভাঙা এক প্রেমিকা,
সমাজের দেয়ালে লাথি মেরে
তোমাকে বলি-ভালবাসাও হতে পারে এক প্রকার বিদ্রোহ।
ভিখারির ছদ্মবেশে হই রাধা,
প্রত্যাশা নয়, শুধু উপস্থিতির আকাঙ্ক্ষা।
তুমি যদি কৃষ্ণ না ও হও,
তবু বৃন্দাবনে থাকি একা নৃত্যরত।
“জোন অফ আর্ক” এর রূপে হই প্রেমিকা
তোমার নামে তলোয়ার ধরে নামি যুদ্ধক্ষেত্রে,
চোখে বজ্রবিদ্যুতের খেলা,
পৃথিবী বুঝুক—ভালোবাসা মানেই আত্মবিসর্জনের সাহস।
শেষে হই “মীরাবাঈ”—
একান্ত নিবেদিত, নির্বাক একাগ্রতায়।
প্রেমের জপমালায় তোমার নাম বুনে
নিজেকেই হারিয়ে ফেলি, এক অনন্তে।
তুমি চাইলেও না চাইলেও
এই ছয়টি রূপে আমি থাকি
তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে,
অদৃশ্য, তবু অনিবার্য।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন