সহিদুল আলম স্বপন, জেনেভা, সুইজারল্যান্ড ||
পৃথিবী আজ এক ধ্যানমগ্ন ঋষি-
তার বুকের ওপরে নিদ্রিত শিশিরেরা যেন জপমালা গুনছে আলো আর অন্ধকারের মাঝে।
বৃক্ষরা দাঁড়িয়ে আছে সন্ন্যাসীর মতো,
পাতার নড়াচড়ায় উচ্চারিত হয় অদৃশ্য মন্ত্র
জীবনের, মৃত্যুর, পুনর্জন্মের।
দিগন্তে সূর্য ওঠে যেন অগ্নিদীপ,
তার আলোয় জেগে ওঠে ঘুমন্ত নদী,
নদী তখন পৃথিবীর নীল শিরা বেয়ে বয়ে যায়,
গভীর বুকের ভিতর রেখে যায় জলের প্রার্থনা।
আকাশ হলো এক বিশাল দৃষ্টি-
যে নীরবে দেখে, বিচার করে না;
মেঘেরা তার চিন্তার ছায়া,
যা কখনো বৃষ্টি হয়ে ফিরে আসে পৃথিবীর অশ্রুতে।
মানুষের কোলাহল থেমে গেলে
শোনা যায় মাটির শ্বাস,
শোনা যায় ঘাসের গায়ে সময়ের নরম হাত বুলানো।
সেই নীরবতার ভিতরেই পৃথিবী ফিসফিস করে,
“আমি শব্দের আগে জন্মেছি,
তোমাদের ভাষারও গভীরে আমার নিশ্বাস লুকানো।”
তখন মনে হয়,
এই পৃথিবীর বুক আসলে এক বিশাল হৃদয়,
যার প্রতিটি স্পন্দন এক একটি অদৃশ্য কবিতা,
আর তার নীরবতা- সকল গানের আদিম ছন্দ।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন