নিজস্ব প্রতিবেদক ,,
সিলেটে প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমে মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখনই বেড়েছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। প্রতিদিনই ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রাহকরা। দিনরাত মিলিয়ে ৮-১০ ঘণ্টা বিদুৎ থাকছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, একদিকে উৎপাদন কম, অন্যদিকে চাহিদা বাড়ায় বেড়েছে লোডশেডিং। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে আরও কিছুদিন।
জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেট জোনে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৯০.৬০ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ করা হয়েছে ১৩৬.৮৫ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় ২৮.২০ শতাংশ কম বিদ্যুৎ পেয়েছে সিলেট জোন। এছাড়া সিলেট জেলায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৩৪.৭২ মেগাওয়াটের বিপরীতে সরবরাহ করা হয়েছে ৯৩.৬৬ মেগাওয়াট। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় সিলেট জেলায় ওই সময়ে ৩০.৪৭ শতাংশ কম বিদ্যুৎ পেয়েছে।
এর আগের দিন বুধবারও ছিল প্রায় একই অবস্থা। সিলেট জোনে ২১৪.৭০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১৬০.৪০ মেগাওয়াট এবং সিলেট জেলায় ১৪১.৫০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ছিল ৯৮.৯৪ মেগাওয়াট। ফলে সোমবার সিলেট জোনে ঘাটতি ছিল ২৫.২৯ শতাংশ ও জেলায় ঘাটতি ছিল ৩০.০৭ শতাংশ।
সিলেট বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হোসাইন সিলেটভিউকে জানান, আজ মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিভাগের একটি অভ্যন্তরীণ সভা হয়েছে। ওই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিলেটের বিদ্যুতের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি সেন্টাল (ঢাকা) জানানো হবে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন