জিবি নিউজ প্রতিনিধি//
সিলেটের ওসমানীনগরে এক প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগ তুলে বুধবার (৯ জুলাই) বিকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই নারীর বাড়ির কেয়ারকেটার মো. কামাল হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজেরা আলী পান্নার বাড়ির সিকিউরিটি তিনি। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত আনসার ভিডিপির সদস্য। গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা দখলবাজ ও চাঁদাবাজ গোলাম রব্বানী সুহেল পুলিশের সঙ্গে আঁতাত করে করে হাজেরা আলী পান্নাকে হয়রানি করছেন। তার এই কর্মকাণ্ডে সহযোগী হিসেবে রয়েছেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর সার্কেল) আশরাফুজ্জামান আশিক ও ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনায়েম মিয়া।
কামাল হোসেন বলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজেরা আলী পান্না একজন সহজ সরল মহিলা। দেশ ও নাড়িরর টানে মাঝে-মধ্যে দেশে আসেন তিনি। বেশিরভাগ সময় প্রবাসে থাকার সুযোগে তাঁর জায়গা-জমি জবরদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রব্বানী সুহেল ও তার ভূমিখেকো চক্র। এছাড়া হাজেরার কাছে চাঁদাও দাবি করা হয়। এসব ঘটনায় চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল গোলাম রব্বানী সুহেলকে প্রধান অভিযুক্ত করে হাজেরা আলী পান্না ৩৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগপত্র ওসমানীনগর থানায় দখিল করেন। কিন্তু এ খবার জানার পর গোলাম রব্বানী প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকের হাজেরা ও তার পরিবারকে। মামলা তুলে নিতে দফায়-দফায় হুমকি প্রদর্শেনর পর অবশেষে তার বাহিনী নিয়ে হাজেরা আলী পান্নার বাড়ি ৫ দফা ভাংচুর ও লুটপাট করান গোলাম রব্বানী। তারপরও তার বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করতে অনিহা প্রকাশ করে পুলিশ। পরে মামলা নথিভুক্ত করতে বাদী হাজেরা আলী পান্নার কাছ থেকে কয়েক দফায় বড় অংকের টাকা ঘুষ নেন ওসি মোনায়েম মিয়া।
এ অব্স্থায় অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন হাজেরা আলী পান্নার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনকারী মো. কামাল হোসেন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন