পাকিস্তানের সদ্যঃসমাপ্ত জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের পর গতকাল শুক্রবার প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন বসে। পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের গতকালের অধিবেশনে নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজও এদিন শপথ নেন। এর মধ্য দিয়ে সংসদীয় রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো নওয়াজকন্যার।
পাঞ্জাব আইন পরিষদের গতকালের প্রথম দিনের অধিবেশনে ৩১৩ জন আইন প্রণেতা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে পিএমএল-এন এবং এর সহযোগী দলগুলোর আইন প্রণেতা ছিলেন ২১৫ জন। অন্য ৯৮ জন ছিলেন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সদস্য। আজ শনিবার গোপন ব্যালটের মাধ্যমে পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে বলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিদায়ি স্পিকার সিবতাইন খান জানিয়েছেন।
এর আগে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের মনোনয়নপত্র যাচাই করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয় দুই ঘণ্টা দেরিতে। পিএমএল-এন, পিটিআই ও সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেওয়ার সময় পরস্পরের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করেন। এ কারণেই শপথগ্রহণ বিলম্বিত হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের পাশাপাশি পাঞ্জাবসহ পাঁচটি প্রদেশের আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের প্রায় দুই সপ্তাহ পর অনেক আলোচনা ও দর-কষাকষির পর গত মঙ্গলবার জোট সরকার গড়তে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সমঝোতা হয়। পিএমএল-এন ও পিপিপি বলেছে, তাদের সমঝোতার সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হবেন শেহবাজ শরিফ আর প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আসিফ আলী জারদারি। তবে পিপিপি ও পিএমএল-এনের সরকার গঠনের উদ্যোগের সমালোচনা করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। ইমরানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই নির্বাচনে এককভাবে সবচেয়ে বেশি, ৯২টি আসন পেয়েছেন।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন