মৌলভীবাজার প্রতিনিধি \ তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ের সব নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান নারীরা। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে পরিবার থেকে রাষ্ট্র সব ক্ষেত্রে নারীরা এখনো পিছিয়ে আছেন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর নির্দেশনা মতে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা খাকলে আজও বাস্তবায়িত হয়নি। বর্তমানে তাঁরা সেখানে ৫০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে চান।
গতকাল বুধবার (১৭অক্টোবর) মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ হল রুমে মৌলভীবাজার জেলা নারী উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রের নারীরা এসব দাবি জানান। অনুষ্ঠানে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নারী জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নারীরা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী সুইজারল্যান্ডের (এসডিসি) সহায়তায় ‘অপরাজিতা নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন’ প্রকল্প।
মৌলভীবাজার সদও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিন রহমানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে জেলার ২০ জন নারী নেত্রীর পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয় কিভাবে তাঁরা নিজেদের ‘অপরাজিতা’ নামে পরিচয় দিতে অভ্যস্থ হয়েছেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রিপ ট্রাস্ট প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মো. নজরুল ইসলাম। প্রকল্প বিষয়ক আলোচনা করেন সিলেট এডভোকেসি ও নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী সঞ্জিত কুমার দেব।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার সদও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন চৌধুরী,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকৌশলী মো: মোয়াজ্জেম হোসেন,সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মুহিব।
বক্তারা বলেন, ‘তৃণমূল থেকে আজকে এখানে যে নারীরা এসেছেন সত্যিই তাঁরা অপরাজিতা,তাই যেভাবে আমরা এগিয়ে চলছি সেভাবে আরো সামনে এগিয়ে যাব।’পুরুষরা যদি তাদের মানসিকতা পরিবর্তন না করে তাহলে বারবার আমাদের ধাক্কা খেতে হবে, অধিক পরিশ্রম ও কাজ করে নিজেদের প্রমাণ করতে হবে।’
রাজনৈতিক ক্ষমতায়নটা চাচ্ছি যেন নীতিনির্ধারণী ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় নারীর সম-অংশগ্রহণ হয় এবং সিদ্ধান্তগুলো নারীবান্ধব হয়। পুরুষ ও নারীর সম-অংশগ্রহণে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া দাবী করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন