প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে নিউইয়র্কে নির্মূল কমিটির ২৫শে মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

স্বীকৃতি বড়ুয়া, নিউইয়র্কঃ রাতের অন্ধকারে রচিত হয়েছিল মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের আন্দোলনকে শ্বাসরুদ্ধ করতে ঘুমন্ত নারী শিশুসহ নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাপিয়ে পরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের সেই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা।
সেই কাল রাত্রিতে সংঘটিত গণহত্যায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যথাযথ মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিউইয়র্ক চ্যাপ্টার। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে প্রদীপ প্রজ্বলন করে কিছুক্ষন নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নিউইয়র্ক চ্যাপ্টার সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়ার পরিচালনায় গণহত্যা দিবসের আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। সমবেত নেতৃবিন্দরা বলেন ‘গণহত্যা দিবস’ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ত্রিশ লক্ষ বাঙালির আত্মত্যাগের মহান স্বীকৃতির পাশাপাশি তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে চরম প্রতিবাদের প্রতীক। এই ধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড যেন পৃথিবীর আর কোথাও না ঘটে, ২৫শে মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববাসীকে গণহত্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানাতে হবে।
বক্তব্য রাখেন নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য যথাক্রমে কবীর আনোয়ার ও মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, ওবায়দুল্লাহ মামুন, মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, শাহীন আজমল, রফিক রহমান, শরাফ সরকার, শওকত আকবর রিচি, মোরশেদা জামান, সেবুল মিয়া, শাহীদ রেজা নুর, তফাজ্জল লিটন, সহ অন্যান্য নেতৃবিন্দ। বক্তব্যের পরে উপস্থিত সবাই সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করেন।