সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে- খালেদা জিয়া

জিবিনিউজ24 ডেস্ক:
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আবার যদি ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হয়, তাহলে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব অর্থহীন হয়ে পড়বে। শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। কাজেই এই সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। তা না হলে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হবে না।
বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল বুধবার রাত নয়টায় অনুষ্ঠিত ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন। জোটের বৈঠক হলেও এতে শরিক দল বাংলাদেশ লেবার পার্টিকে আসতে মানা করা হয়। বৈঠক সূত্রটি জানায়, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, তাঁর (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে, তা অন্যায়, অনৈতিক এবং সংবিধানবহির্ভূত। তিনি জোটের নেতাদের প্রতি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যদি প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নিয়োগ দেওয়া না হয়, তাহলে আপনারা প্রতিবাদ জানাবেন।
বৈঠক সূত্রটি আরও জানায়, জোটের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ওদের (ক্ষমতাসীন দল) টাকা আছে, ওরা অনেক কিছু করবে। আপনারা সতর্ক থাকবেন।
লেবার পার্টিকে সভায় যোগ দিতে মানা করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলের (একাংশ) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পার্টিতে একটু ঝামেলা চলছে। তাই বিএনপির মহাসচিব ফোন করে আমাকে আজকের বৈঠকে না আসতে বলেছেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ৫ নভেম্বর লেবার পার্টিতে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। দলের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মহাসচিব হামদুল্লাহ মেহেদিকে বহিষ্কার করলে মোস্তাফিজও পাল্টা বহিষ্কার হন। হামদুল্লাহ দলের ভাইস চেয়ারম্যান এমদাদ চৌধুরীকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে নতুন কমিটি দেন। এ অবস্থায় দুই পক্ষই বৈঠকে থাকতে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করে।
বিএনপি ও জোটের একাধিক শরিক দলের নেতা জানান, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জোটের ছোট ছোট দলগুলোতে একের পর এক ভাঙন ও পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনায় বিএনপি বিব্রত। এ পর্যন্ত জোটের ছয়টি দল ভাঙে। সর্বশেষ লেবার পার্টির আগে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), ভাসানী ন্যাপ, ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি—এই ছয়টি দল ভেঙে জোট ছেড়ে যায়। অবশ্য প্রতিটি দলের খণ্ডাংশকে রেখে দিয়ে বিএনপি ২০ দলের নাম বজায় রাখে।