নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদের ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে প্রগতিশীল ডেমোক্রেট ও স্টেট অ্যাসেম্বলি সদস্য জোহারান মামদানি সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটগণনার ফলাফলে মামদানির ১২ পয়েন্ট ব্যবধানে স্পষ্ট জয় নিশ্চিত হয়।
৩৩ বছর বয়সী মামদানি ২০২১ সাল থেকে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে রয়েছেন। উগান্ডায় জন্ম নেওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মুসলিম রাজনীতিক মাত্র ২০১৮ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। তিনি নির্বাচিত হলে হবেন নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম মেয়র, প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়র এবং সবচেয়ে কম বয়সীদের একজন।
প্রগতিশীল এজেন্ডায় জিতলেন মামদানি
জোহরান মামদানি প্রায় অচেনা মুখ থেকে হয়ে উঠেছেন প্রগতিশীল রাজনীতির মুখ। তার প্রচারাভিযান ছিল নির্ভরযোগ্য গণপরিবহন, বিনামূল্যে বাস সার্ভিস, সার্বজনীন শিশুসেবা, ভাড়ায় স্থগিতাদেশ এবং রাজস্ব থেকে পরিচালিত রাষ্ট্রীয় গ্রোসারি শপের মতো উদ্যোগে ভরপুর। তিনি ধনীদের ওপর কর আরোপের পক্ষে, এবং গাজায় ইসরায়েলের অভিযানকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দেওয়ার মতো স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন—যা তাকে গতানুগতিক ডেমোক্রেটদের থেকে আলাদা করেছে।
কুয়োমোর প্রত্যাবর্তন ব্যর্থ
সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো ২০২১ সালে যৌন হয়রানির অভিযোগে পদত্যাগ করেছিলেন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। তবে জনআস্থা পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। তার মুখপাত্র রিচ আজ্জোপার্দি বলেছেন, ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা জনগণের সঙ্গে আলোচনায় আছি।’ ধারণা করা হচ্ছে, কুয়োমো হয়তো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।
নভেম্বরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
জোহারান মামদানি এখন সামনের নভেম্বরে মেয়র পদের সাধারণ নির্বাচনে মুখোমুখি হবেন বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামস, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিম ওয়ালডেন এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়ার সঙ্গে।
মামদানির এই বিজয়কে রিপাবলিকানরা বাম চরমপন্থার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন, ‘এখনো তার সামনে একটা কঠিন নির্বাচন রয়েছে—কিন্তু সে জয়ের পথে।’
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন