সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৩২ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাউনিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় কপোতাক্ষ নদে প্রবল স্রোতে উল্টে যাওয়া ট্রলার থেকে নিখোঁজ হওয়া তিন শ্রমিকের এখনও সন্ধান মেলেনি। এদিকে, বুধবার ( ১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফন্স এর উদ্যোগে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের উপস্থিতিতে আবারো শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান। সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স উপ-সহকারি পরিচালক তারেক হাসান ভুঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরপর বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক প্রতাপনগরের কল্যাণপুর এসে ক্ষতিগ্রস্ত নিঁখোজ তিন পরিবারের মাঝে মাথা পিছু ১০ হাজার টাকা, ৫০ কেজি’র এক বস্তা চাউল ও একটি করে কম্বল তুলে দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল। সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স উপ-সহকারি পরিচালক তারেক হাসান ভুঁইয়া আরও জানান, খুলনা থেকে ডুবুরী আনার পর সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরুর পর দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটি জেলেদের জালে আটকা পড়ায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে নিঁখোজ তিন শ্রমিকদের সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। এর আগে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় নদীতে প্রবল স্রোত থাকা ও আলো স্বল্পতার কারণে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়া লঞ্চঘাট থেকে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙা নামকস্থানে বালি ভর্তির জন্য খালি বস্তা ও শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার সময় চালক আব্দুস সাত্তার ও ১৪জন শ্রমিকসহ একটি ট্রলার প্রবল স্রোতে ঘোলে পড়ে উল্টে যায়। ট্রলার চালকসহ উদ্ধার হওয়া ১২ জন শ্রমিকের মধ্যে মাফুয়ার রহমানকে জায়গীরমহল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় । এতে নিখোঁজ হওয়া শ্রমিক বাবুরালি সরদার, আব্দুল আজিজ ও শফিকুল ইসলামকে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও ফায়ার সিভিল ডিফন্সের ডুবুরীরা। প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে কুড়িকাউনিয়া এলাকায় বিশালাকৃতির খাল তৈরি হয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সেনা বাহিনীর তত্তাবধায়নে ভাঙ্গন পয়েন্ট মেরামতের কাজ চলছে। বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকরা ঠিকাদারের অধীনে এই ভাঙ্গন পয়েন্ট গত আড়াই মাস ধরে কাজ করছে।##

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন