মৌলভীবাজারে ‘বাঁচার মতো মজুরি’র দাবি চা-শ্রমিকদের

gbn

জিবি নিউজ প্রতিনিধি//

বাজারদরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ দৈনন্দিন মজুরি, বার্ষিক ১৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, উৎসব বোনাস, রেশন বৃদ্ধি, ভূমির অধিকারসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিকরা।

 

 

 

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শ্রম উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দেন চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির নেতারা।

 

স্মারকলিপি দেওয়ার আগে চা-শ্রমিক সংঘের নেতাকর্মীরা লাল পতাকা ও দাবিসম্বলিত ফেস্টুন নিয়ে শহরের চৌমুহনা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে চৌমুহনা এলাকায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চা-শ্রমিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

 

 

চা-শ্রমিক সংঘ মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরি নারায়ণ হাজরা বলেন, ‌‘চা-শ্রমিকরা প্রায় ২০০ বছর ধরে বনের বাঘ-ভাল্লুক, সাপ-জোঁকসহ হিংস্র জীবজন্তুর সঙ্গে প্রতিদিন লড়াই করে চা-শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন। অথচ তাদের মজুরি এখনো ন্যূনতম মানবিক মাত্রার নিচে। বর্তমানে ‘এ’ ক্লাস বাগানে দৈনিক মজুরি সর্বোচ্চ ১৮৭.৪৩ টাকা, যা ছয় সদস্যের পরিবারের জন্য একেবারেই অপ্রতুল। শ্রমিকদের রেশনও সামান্য। সপ্তাহে একজনকে মাত্র ৩.২৭ কেজি চাল/আটা দেওয়া হয়। ক্ষেতের জমির জন্য অতিরিক্ত রেশন কর্তন করা হয়।’

 

 

সমাবেশে শ্রমিক নেতারা দাবি করেন, চা-বাগানের শ্রমিকরা ঘর, রেশন, চিকিৎসা সুবিধার কারণে বেঁচে থাকেন। ২২২ বর্গফুটের দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘরে ছেলে-মেয়ে, মা-বাবা নিয়ে বসবাস করতে হয়। রান্নাঘরও নেই। তারা বাজারদরের প্রকৃত মূল্যস্ফীতি, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি, মজুরি কমিশন ঘোষিত মজুরি এবং অন্যান্য শিল্পখাতের শ্রমিকদের মজুরি বিবেচনা করে বাঁচার মতো মজুরি প্রদানের দাবি জানান।

 

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস, রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুহেল মিয়া, হোটেল শ্রমিক নেতা সুবেল মিয়া, নারী চা-শ্রমিক নেত্রী লক্ষ্মী মনি বাক্তি, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুভাষ গৌড়, প্রবীণ চা-শ্রমিক নেতা স্যামুয়েল বেগম্যান, সুনীল কর, হেমরাজ লোহার প্রমুখ।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন