বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তের নয়নের মণি। পর্দায় যার উপস্থিতি মানেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ভক্ত-অনুরাগীদের জন্য। বক্স অফিসে রাজত্ব করেছেন বছরের পর বছর।
ভারতীয় সিনেমার বক্স অফিসের জন্য যাকে বলা হতো লাকি চার্ম। তবে শুধু বক্স অফিসই নয়, অসংখ্য মানুষের জীবনেও লাকি চার্ম হিসেবে নিজের প্রভাব রেখেছেন শাহরুখ খান।
পরিসংখ্যান বলছে, বলিউডের শীর্ষস্থানীয় অনেক নায়িকার উত্থান শাহরুখ খানের হাত ধরে। শিল্পা শেঠি থেকে শুরু করে আনুশকা শর্মা, দীপিকা পাড়ুকোন—সবাই শাহরুখের হাত ধরে বড় পর্দায় নিজেদের ক্যারিয়ার গড়েছেন।
অনেকেই ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমা করেছেন শাহরুখ খানের সঙ্গে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তাদের জন্য ‘লাকি চার্ম’ হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত শাহরুখ। এছাড়াও শাহরুখের সঙ্গে জুটি বেধে বলিউডের রানি হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন কাজল, জুহি চাওলা ও রানি মুখার্জির মতো অভিনেত্রীরা।
তবে এর বিপরীত উদাহরণও আছে। বলিউডে এমন কয়েক অভিনেত্রীও রয়েছেন, যারা শাহরুখের সঙ্গে অভিনয় করলেও সেই সিনেমা হিট হয়নি। সেই তালিকায় পূজা ভাট, রাভিনা ট্যান্ডন এবং সোনালি বেন্দ্রের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক অভিনেত্রীর নাম।
বলিউডের অন্যতম সিনেমা প্রভাবশালী নির্মাতা মহেশ ভাটের মেয়ে পূজা ভাট। শাহরুখের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করলেও পূজার ক্যারিয়ারে তা ফ্লপ সিনেমা হিসাবে যোগ হয়।
সেটি ছিল ১৯৯৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মহেশ ভাট পরিচালিত ‘চাহাত’। সিনেমাটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। তারপর আর দুই তারকাকে একসঙ্গে দেখা যায়নি।
শাহরুখ মনীষা জুটি বলিউডের অন্যতম আইকনিক জুটি হিসেবে ধরা হয় মাত্র একটি সিনেমার জন্য, আর সেটি হলো ‘দিল সে’। ১৯৯৮ সালে শাহরুখের সঙ্গে ‘দিল সে’ সিনেমাতে অভিনয় করেন মনীষা। সেই সিনেমা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এর আগে অবশ্য একবার দুজনে জুটি হয়েছিলেন। সেটি ১৯৯৫ সালে। প্রেম লালওয়ানির পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘গুড্ডু’। শাহরুখ খানের বিপরীতে সেই সিনেমায় ছিলেন মনীষা। তবে বক্স অফিসে সেটিও ব্যর্থ ছিল।
মনীষার মতো সোনালি বেন্দ্রেরও শাহরুখভাগ্য ভালো হয়নি। ১৯৯৬ সালে প্রবীণ নিশ্চোলের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইংলিশ বাবু দেশি মেম’। এই সিনেমার মাধ্যমেই শাহরুখের সঙ্গে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন সোনালি বেন্দ্রে। তবে সিনেমাটি বক্স অফিসে সেই অর্থে ব্যবসা করেনি। এর দুই বছর পর মহেশ ভাট পরিচালিত ‘ডুপ্লিকেট’ সিনেমাতেও শাহরুখের সঙ্গে অভিনয় করেন সোনালি। সেটিও তেমন ব্যবসা করেনি।
শাহরুখের সঙ্গে একাধিক সিনেমায় অভিনয় করলেও একটি সিনেমাও হিট পাননি রাভিনা ট্যান্ডন। ১৯৯৫ সালে ‘জামানা দিওয়ানা’ এবং ‘জাদু’ সিনেমাতে অভিনয় করেন দুই তারকা। কিন্তু সিনেমা দুটি ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। ২০০৪ সালে বীরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইয়ে লামহে হ্যায় জুদাই কে’। এই সিনেমায় শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় রাভিনাকে। কিন্তু এই সিনেমাটিও বক্স অফিসে হিট করেনি।
১৯৯৩ সালে কেতন মেহতার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘মায়া মেমসাব’ সিনেমাটি। শাহরুখ খানের ক্যারিয়ারের গোড়ার দিকের সিনেমা ছিল এটি। এই সিনেমায় শাহরুখের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যায় দীপা শাহিকে। তবে মুক্তির পর বক্স অফিসে ভালো সাড়া পায়নি ‘মায়া মেমসাব’। এর দুই বছর পরও শাহরুখের সঙ্গে আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেন দীপা। সেটিরও পরিচালনায় ছিলেন কেতন মেহতা। সিনেমাটির নাম ছিল ‘ওহ ডার্লিং ইয়ে হ্যায় ইন্ডিয়া!’ কিন্তু ব্যবসা করতে ব্যর্থ হয় এই সিনেমাটিও। এরপর আর শাহরুখ-দীপাকে একসঙ্গে দেখা যায়নি।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন