ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতাঃ বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রীম কোর্টের অধীন পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন ভাতা প্রদান, বিদ্যমান জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেল ৭ম- ১২তম গ্রেডভুক্ত করা এবং বিদ্যমান ব্লকপদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজনপূর্বক যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবীতে দুই ঘন্টার কর্মবিরতী পালন করেছে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারি এ্যাসোসিয়েশন ঝিনাইদহ জেলা শাখা। সোমবার (৫ মে) অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণ নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণভাবে কর্মবিরতি পালন করে। এ সময় বিচার বিভাগীয় কর্মচারি এ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ দৌলা মাসুম, জেলা সভাপতি আমাদ উদ্দীন, নাজির সাইফুল ইসলাম নান্নু ও সিজেএম আদালতের নাজির হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ঝিনাইদহ বিচার বিভাগীয় কর্মচারি এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ দৌলা মাসুম জানান, তাদের দাবী পুরণে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টম্বর রেজিস্ট্রার জেনারেলের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এছাড়া জেলা জজের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। দাবী বস্তবায়নে আশ্বাস প্রদান করা হলেও অদ্যবধি দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। তিনি আরো জানান, অন্তবর্তীকালীন সরকারের গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সাথে এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করে দাবী উপস্থাপন করেন। কমিশন এসোসিয়েশনের পেশকৃত দাবী যৌক্তিক হিসেবে সহমত পোষণ করলেও অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট প্রদানকৃত প্রতিবেদনের সুপারিশে অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসাবে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের আলোকে বেতন-ভাতাদি প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রস্তাব রাখা হয়নি। ফলে তারা দাবী বাস্তবায়নে শান্তিপুর্ন কর্মবিরতী পালন করতে বাধ্য হয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন