শাহজালাল বিমানবন্দরে ওয়েটিং লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

gbn

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের ওয়েটিং লাউঞ্জের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিমানবন্দরের মাল্টিলেভেল কার পার্কিং এলাকার দ্বিতীয় তলায় যাত্রীদের জন্য প্রশস্ত ও আরামদায়ক ওয়েটিং লাউঞ্জ উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এই লাউঞ্জে ওয়েটিং এরিয়া, শিশুর যত্নের ঘর, পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য প্রার্থনার স্থান, কিডস জোন এবং সুলভ মূল্যের ক্যাফেটেরিয়ায় খাবারসহ বিভিন্ন সুবিধা। লাউঞ্জটি বাংলাদেশের রেমিট্যান্স উপার্জনকারীসহ সব যাত্রীর সেবা প্রদান করার জন্য তৈরি করা হয়েছে, যারা বাংলাদেশের দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এই লাউঞ্জের মাধ্যমে সম্মানিত যাত্রীদের বিমানবন্দরে অপেক্ষার অভিজ্ঞতা আরও আরামদায়ক হবে, যা তাদের অবদানের প্রতি সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা।

 

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ফ্লাইটের জন্য অনেক আগেই বিমানবন্দরে আসা প্রবাসী ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের পরিচিতদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। মূলত নির্ধারিত সময়ে পূর্বে পৌঁছানো যাত্রীদের জন্য পরিবারের সদস্য ও প্রিয়জনদের সঙ্গে শেষ সময়টুকু আনন্দঘনভাবে কাটানোর জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের অনুরোধে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া যাত্রীদের ওয়েটিং লাউঞ্জের জন্য এই স্থানটি নির্ধারণ করেন। বেবিচক চেয়ারম্যানের উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এই ওয়েটিং লাউঞ্জ স্বল্প সময়ের মধ্যে চালু করা সম্ভব হয়েছে। এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য বেবিচক চেয়ারম্যান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান এবং বেবিচকের সব সদস্যের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ.এফ. হাসান আরিফ এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব নাসরীন জাহান এবং বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 

গত ৫ নভেম্বর বেবিচকের সদর দপ্তরে ‘নাফিসা হোসাইন মারওয়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র’-এর উদ্বোধন করা হয়। বেবিচক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় মাত্র দুই মাসের মধ্যে এই কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রটি শহীদ নাফিসা হোসাইন মারওয়ার নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি সাহসিকতার সঙ্গে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে অংশগ্রহণকালে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সাভারে গুলিতে শহীদ হন। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে ঢাকায় কর্মরত বেবিচকের ৩২১ জন নারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী ৬ মাস থেকে ৩ বছর বয়সী বাচ্চাদের নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবেশে রাখতে পারবেন, যা তাদের কর্মক্ষেত্রে আরও মনোযোগী হতে সহায়তা করবে।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন