ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি,
ছাতকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে মাঠের লড়াই জমজমাট হয়ে উঠছে। এ উপজেলা পরিষদের সিংহাসনে বসতে ৫ প্রার্থী মাঠে থাকলেও ভোটের মাঠে আলোচনায় রয়েছেন ৪ জন। উপজেলার ভোটারা বলছেন, এবারের নির্বাচন বিষয়ে আগাম মন্তব্য করাটা কঠিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে উপজেলায় ত্রিমুখী লড়াই হবে। এখানে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। যে যার মতো নির্বাচনী মাঠ নিজের দখলে রাখার চেষ্টা করছেন। এখানে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের ৫ নেতার মধ্যে প্রবাসী ৪ জন। আওয়ামী লীগের মধ্যে ৫ জন প্রার্থী হওয়ায় নেতাকর্মী সহ ভোটাররা দ্বিধা-দ্বন্দে পড়েছেন। অপরদিকে উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা সরাসরি মাঠে না নামলেও তলে তলে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে গোপনে ভোট প্রার্থনা করছেন। আওয়ামী লীগের বড় একটা অংশ একাট্টা হয়ে মাঠে সরব রয়েছেন। তাদের টার্গেট ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে যান এবং ভোট দেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বি এখন আওয়ামীলীগ। আওয়ামী লীগের নেতাকমীরা প্রবাসী আওলাদ আলীর পক্ষে প্রকাশ্যেই মাঠে কাজ করছেন। তার পক্ষে জোয়ার উঠেছে, তিনি অনেক ভোটে বিজয়ী হবেন বলে ভোটারদের অভিমত। জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা নিরুত্তাপ থাকলেও বর্তমানে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌর সভায় নির্বাচনী উত্তাপ বইছে। জাপা বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা চায়ের দোকানে, বাজারে বসে সময় পার করছেন এবং পর্যবেক্ষণ করছেন। ভোটারদের নিরুৎসাহ এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে তারা উপজেলা সদরে লিফলেট বিতরণ করছেন। শ্রমিক শাহজাহান নামে একজন জানান, ছাতকে উপজেলায় বিএনপি ভোট ব্যাংক হিসাবে দক্ষিন ছাতক পরিচিত। উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৫ প্রার্থী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপির ভোটারা কেন্দ্রে গেলে বিএনপি সমর্থন আওলাদ আলী রেজা (আনারস মাকা) বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আওয়ামীলীগ নেতা গৌছ মিয়া ও উপজেলা যুবলীগ নেতা সায়াদুর রহমান ছায়েদ জানান, এবার নির্বাচনে নেতার জনপ্রিয়তা যাচাই করে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন ভোটাররা। তিনি বলেন, সবার প্রিয় প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা (আনারস) এগিয়ে আছেন, তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী সম্ভাবনা রয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ এলাকার একজন ব্যবসায়ি মুসলিম মিয়া জানান তার ব্যক্তি ইমেজ ছিল, তিনি এমপি গ্রুপের নেতা ছিলেন তার দল বদল করে মেয়র আব্দুল কালাম চৌধুরীর গ্রুপের যোগদান করেন। ভোটের মাঠে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তিনি যদি জাপা ও বিএনপি অংশের ভোটার টানতে পারেন তাহলে বিজয়ী নিশ্চিত হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল দুই যুগ ধরে চলছে। পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী ও মুহিবুর রহমান মানিক এমপি গ্রুপ নামে দুটি গ্রুপ রয়েছে ছাতকে। এ দুটি গ্রুপের বেশী ভাগ নেতা কমীরা রয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ আলী রেজা্র পক্ষে
প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকমীরা। কানাডা প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ আলী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কিরন,যুক্তরাজ্য প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ আলী ও বতমান ভাইন্সচেয়ারম্যান আবু সাদাত মোহাম্মদ লাহিন। ২৯ মে নিবাচন অনুষ্টিত হবে। ভোটার সংখ্যা পুরুষ এক লাখ ৬০হাজার ৪৪জন,এবং মহিলা একলাখ ৫১হাজার ৯শত ৩জন মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১১হাজার ৯শত৫৭ জন,কেন্দ্র সংখ্যা ১০৩ বুথ সংখ্যা ৬শত ৭১জন। ###
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন