সহিদুল আলম স্বপন, জেনেভা, সুইজারল্যান্ড ||
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সুইস- বাংলাদেশ উইমেন্স এসোসিয়েশান উদ্যগে যথাযথ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বরণ করেছে দক্ষিণ এশীয় বিভিন্ন দেশের প্রবাসীবৃন্দ । বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের নানা আয়োজনে জেনেভার স্হানীয় অডিটোরিয়ম গ্রঁ সাকোনে হল ডেলিস ছিল উৎসবে মুখরিত।
বৈশাখ উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ কালক্রমে বাঙ্গালী সংস্কৃতির সার্বজনীন ও সর্ববৃহৎ উৎসবে পরিণত হয়। এতে সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সে বসবাসরত প্রায় দেড় শতাধিক বিভিন্ন দেশের নাগরিক স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
পৌলমি দত্তের সার্বিক পরিচালনায় হৃদীতা বড়ুয়ার বেহেলার মূর্ছনায় জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। মঙ্গল দ্বীপ জ্বেলে রবীন্দ্র সংগীতের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন ডোনা সাহা ও দেবশ্রী চ্যাটার্জী। শ্রীলংকার শিশু শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা সহ বিভিন্ন বয়সের শিশু কিশোর কিশোরদের জাঁকজমকপূর্ণ নৃত্য পরিবেশনা উপস্হিত দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। এছাড়া নৃত্য পরিবেশন করেন মিলি হোসেন, নইমি হোসে, রিমি হোসেন, ইনাইয়া জারা ইসলাম এবং পৌলমি দত্ত সহ ভারত শ্রীলংকার বিভিন্ন নৃত্য শিল্পীবৃন্দ। সংগীত পরিবেশন করেন প্যারিস থেকে আগত শিল্পী সাগর বড়ুয়া, অলোকা বড়ুয়া আর তবলার বোলে মাতিয়ে রাখেন শ্রী অনুভব চ্যাটার্জী। অনু্ষ্ঠানের বাড়তি পাওনা ছিল উহ্লচিং মারমার ত্রিপুরা কাথারাক বোতল, মারমা সাংগারী ও চাকমা ঝুম নৃত্য।
উপস্থিত সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান গ্লোবাল ফান্ড ট্যাকনিকাল এডভাইছ ও পার্টনারশীপ ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ডঃ ঝামোহই জেমি তংশিং। তিনি বলেন, 'জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ কালক্রমে বাঙ্গালী সংস্কৃতির সার্বজনীন ও সর্ববৃহৎ উৎসবে পরিণত হয়েছে'। তিনি তার বক্তব্যে ইউনেস্কো-এর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' এর অন্তর্ভূক্তির কথা উল্লেখ করে নববর্ষ উদযাপনের আন্তর্জাতিক করণের কথা তুলে ধরেন। এ ছাড়া গ্রঁ সাকোনে কাউন্সিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম. মিশেল পোমাটো ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন জেনেভায় অবস্থিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং দূতাবাসে কর্মরত বিভিন্ন দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষে আগত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবারে রাতের খাবারে আপ্যায়িত করা হয়। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তও্বাবধনে ছিলেন বিশ্ব বড়ুয়া সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় রতন বড়ুয়া।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন