বিদেশিরা আমাদের আইনি ব্যবস্থা সম্পর্কে কিছুই জানে না : অ্যাটর্নি জেনারেল

gbn

শ্রম আইন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় বিদেশিরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলার রায় নিয়ে সমালোচনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন। তিনি বলেছেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিচারক এ মামলার রায় দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনার মধ্যে এক প্রশ্নে এমন মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলাটা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে শুধু ব্যক্তির কারণে-এমন প্রশ্নের জবাবে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘শ্রম আদালতে মামলাগুলো দ্রুত শেষ হয়।

শ্রম আদালত নামে আরেকটি আদালতই করা হয়েছে এর জন্য। যথাযথ আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ করেই শ্রম আদালতের বিচারক এই মামলার রায় দিয়েছেন।’  

 

আরেক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ড. ইউনূস বলেছেন যে বিনা দোষে ওনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘দেখেন ওনার জায়গায় আপনি হলে আপনিও এটা বলতেন।

কারণ, কোনো দিনও আমি দেখি নাই কোনো মামলায় যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তিনি বলেন যে আমি অভিযুক্ত। উনি যদি এটা বলতেন তাহলে তো মামলায় বিচারই হতো না। উনি যদি স্বীকার করে নিতেন তাহলে তো বিচারই হতো না। শাস্তি দিয়ে দিতে পারতেন কোর্ট।

যেকোনো মামলায় অভিযুক্ত যখন বলেন যে তিনি নির্দোষ তখন কিন্তু বিচার হয়। উনি যদি বলতেন যে উনি দোষী তাহলে সেটা ব্যতিক্রম হতো।’  

 

বিদেশিদের সমালোচনা করে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ওনারা (বিদেশিরা) যদি ঘটনাটা পড়েন, আইনটা দেখেন সঠিকভাবে, তাহলে এই প্রশ্নটা তুলতেন না। একতরফা ওনারা শুনেছেন এবং বিশ্লেষণ না করে ওর ওপর ভিত্তি করে কথাটা বলেছেন।’

এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘শ্রম আদালতে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে মামলা হয়েছে।

যদি একজন শ্রমিককে তাঁর প্রাপ্য অধিকার দেওয়া না হয় সেক্ষেত্রে আইনের বিধান হচ্ছে, ওনাকে (প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা দায়িত্বশীলদের) নোটিশ দেওয়া হবে। উনি নোটিশের জবাব যদি প্রতিপালন না করেন তারপর মামলা করা হবে। ওনার (ড. ইউনূস) ক্ষেত্রে কিন্তু নোটিশ দেওয়া হয়েছে, জানানো হয়েছে। তারপর উনি প্রতিপালন না করায় ওনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই মামলাটা উনি সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত নিয়ে আসছিলেন। সেখান থেকে বলা হয়েছে, মামলা চলবে। পরবর্তী সময়ে সাক্ষী-প্রমাণ নিয়ে এটা শেষ হয়েছে। এখন বিদেশিরা তো আমাদের দেশের আইনি ব্যবস্থা সম্পর্কে কোনো কিছুই জানে না। আমাদের দেশের আইনগত পদ্ধতি-প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমার মনে হয় ওনাদের এত পরিষ্কার ধারণা নেই। যার কারণে আমাদের এখান থেকে যা বলা হয় তারা সেটাই হয়তো অনুসরণ করে বক্তব্য দেন। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি যে আমাদের যারা এখানে (শ্রম আদালতে) ছিলেন তারা হয়তো কোনো কারণে…।’

 

বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ওই রাজনৈতিক দল তো সরকার বা রাষ্ট্র যা করে তারই বিরোধিতা করে। সেটা তো তাদের রাজনৈতিক কারণে করছে। তারাই হয়তো এটা (ড. ইউনূসের মামলার রায়) বিভিন্ন দেশে রংচং দিয়ে সঠিক তথ্য প্রদান না করে বিভিন্ন দেশের কাছে  পাঠাচ্ছে।’    

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে গতকাল সোমবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চারজনের প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদণ্ডের সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা।

এ মামলায় অন্য দণ্ডিতরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। এ রায়ের পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা রকমের আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।

জিবিডেস্ক //

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন