জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: জুড়ীতে পারিবারিক বিরোধ নিয়ে ২ সন্তানের জননীর বিষপানে রহস্যজনক আত্নহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব বাছিরপুর গ্রামে। সরজমিনে জানা গেছে,পূর্ব বাছিরপুর (চাক্কা টিলা) গ্রামের বাসিন্দা হাজী খলিলুর রহমান বিগত ২০০০ সালে বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের সালদিঘা গ্রামের মৃত নজিব আলীর মেয়ে নাজিরা বেগমকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিবাহ করেন। খলিলুর রহমানের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,বিয়ের পর থেকেই হাজী খলিলুর রহমান তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাজিরা বেগমকে নিয়ে বাছিরপুরের অন্য একটি বাড়ীতে বসবাস করে আসছেন। পারিবারিক জীবনে নুহা (২০) ও সাদিয়া (১৫) নামে নাজিরার দুইটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে বিবাহ দিলেও ছোট মেয়ে সাদিয়া অবিবাহিত। জানা যায়,দীর্ঘদিন যাবত খলিলুর রহমান তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাজিরাকে নিয়ে পারিবারিক বিষয়ে নানান সমস্যার মধ্যে অশান্তিতে রয়েছেন। পারিবারিক জীবনে অশান্তির মধ্যে থেকে নিজ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে হাজী খলিলুর রহমান বর্তমানে ছেলে মেয়ে, স্ত্রী সন্তান হারিয়ে এক অসহায়ের ন্যায় অসুস্থতা ও বার্ধক্যের কষাঘাতে এক অমানবিক জীবনের দিকে পতিত হচ্ছেন।অনুসন্ধানে জানা গেছে,গত (৭/৬) বুধবার রাতে হাজী খলিলুর রহমানের বাছিপুরের দ্বিতীয় বাড়ীতে তার ২য় স্ত্রী নাজিরা বেগম (৫২), মেয়ে হালিমা রহমান নুহা (২০) এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘঠনা ঘঠে। এসময় নাজিরার মেয়ে জামাই ফুলতলা ইউনিয়নের পূর্ব বটুলী গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে আলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলো। উক্ত ঘঠনার সূত্র ধরে সন্ধ্যায় বিষপান করে খলিলুর রহমানের স্ত্রী নাজিরা বেগম (৫২)। ঘটনার রাতে হাজী খলিলুর রহমান তার ব্যক্তিগত কাজে মৌলভীবাজারে ছিলেন। রাতে বাড়ীতে আসলে তিনি ঘটনাটি শুনে পরদিন (৮/৬) বৃহস্পতিবার সকালে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকগন দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজারে রেফার করলে রোগীকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে। সেখানে রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর রোগীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত (১৩/৬) বিকেলে মারা যান নাজিরা। বাছিরপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন মুঠোফোনে বলেন, লাশের ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (১৫/৬) বিকেলে স্থানীয় চাক্কাটিল্লায় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত নাজিরা বেগমের স্বামী হাজী খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,এবিষয়ে আমি থানায় কোন মামলা করিনি।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন