অভিজিৎ রায়সহ পাঁচ ব্লগার হত্যায় জড়িত আরাফাত গ্রেপ্তার

জিবিনিউজ24 ডেস্ক:
লেখক অভিজিৎ রায়সহ পাঁচজন ব্লগার হত্যায় অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) অপারেশন (অপস্) শাখার এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। তার নাম সাজ্জাদ ওরফে শামস ওরফে আরাফাত (২৪)।
তার সাংগঠনিক নাম সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ। গত শুক্রবার রাত সাতটার দিকে ঢাকার সাভার থানার আমিনবাজারের বরদেশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার তাকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম একেএম মঈদ উদ্দিন সিদ্দিকীর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। উল্লেখ্য, এই আরাফাতকে গ্রেপ্তারে ডিএমপি দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
গ্রেপ্তারকৃত আরাফাত পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁদের সংগঠনের বড় ভাইয়ের মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত) নির্দেশে এবং পরিচালনায় এ হত্যাকাণ্ডে তারা অংশ নিয়েছিলেন। সে জুলহাস-তনয়, নিলয় ও দীপন’ হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
আরাফাত আরও জানায়, ঘটনার দিন অভিজিৎ রায়কে হত্যার উদ্দেশ্যে মুকুল রানা ওরফে শরীফের নেতৃত্বে তারা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে তার অপর ৩ সহযোগীসহ তিনি হত্যার উদ্যেশ্যে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আরাফাত তাঁদের সংগঠনের আরেক সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় যায়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ব্লগার ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা একুশে বইমেলা থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরের কাছে জঙ্গি হামলার শিকার হন। এসময় জঙ্গিরা ধারালো চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও আহত হন। পরে শাহবাগ থানায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্য়ন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজমের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া দুইজন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।