নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি||
পূর্ব শত্রুর জের ধরে আওয়ামী সরকার থাকাকালিন সময় থেকে এখন পর্যন্ত তার স্বামী চেয়ারম্যান হওয়ায় সে প্রভাব খাটিয় নানান অনিয়ম আর দূনীতির অভিযোগের পাহাড়। নবীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম এর স্ত্রী শাহিনুর আক্তার পান্নার বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে আপন লোকজনের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে একের পর এক মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সে তার নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বা সত্য সংবাদ প্রকাশ করলে সে তার স্বামী বা থানা পুলিশ দিয়ে নানান ধরনের মামলার ভয় দেখাতো। নবীগঞ্জের জনৈক এক স্কুল শিক্ষকের ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবা নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের কামারগাও গ্রামের মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী। শত্রুতা মেটাতে তারা দলবদ্ধ হয়ে ভবঘুরের এক মহিলার গত ২ বছর পূর্বে কামারগাও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি সন্তান হয়। কিন্তু এর পূর্বেও তার আরো ২/৩টি সন্তান এভবেই হয়েছে। কিন্তু ঐ সকল সন্তানরে বাবা কে এখন পর্যন্ত কেউই বলতে পারবেনা। বা ঐ মহিলাও বলতে পারবেনা তার সন্তানের প্রকৃত বাবা কে। গত ২/৩ দিন পূবে মুর্শেদ আহমদ এর শিক্ষক পুত্র জামিল আহমদ চৌধুরী বিয়ে করেন। আর এই বিয়ে ভাঙ্গনের জন্য বিগত ২ বছর পূর্বে ঐ মহিলার একটি সন্তান প্রসব হয় স্থানীয় কামারগাও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। জামিলের বিয়ের খবর শুনা মাত্রই প্রতিপক্ষের লোকজন জ্বলে পুড়ে ওঠে ভবঘুরের ঐ মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাকে শত্রুতা মেটাতে মোবাইল ফোনে ভিডিও করে ৭২ বছর বয়সী এক বৃন্ধের নাম বলিয়ে যোগাযোগ মাধ্যম ফেইবুকে তা পোস্ট করে। এতে বিষয়টি মুহুর্তেই চড়িয়ে পড়ে দেশ- বিদেশে। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন ফেইক আইডি দিয়ে নানান ধরনের মানহানিকর পোস্ট। এতে একের পর এক বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা গুজব ছড়াতে থাকে। ঘটনাটি শিক্ষক জামিলের নজরে পড়লে সে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়িতে গিয়ে লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করে। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার একদল পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে। এ সময়ে ভবঘুরের মেয়েকে কোথাও পাওয়া যায়নি। তবে, যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গত দুই মাস পূর্বে ঐ ভবঘরেরে মহিলার সন্তান জন্ম নিয়েছিল সেই গাইনী চিকিৎসকের সাথে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য তার সাথে কথা বলতে পুলিশ, সাংবাদিক ও ঐ সময়ের স্বাক্ষী সহ স্থানীয় লোকজন তার সাথে কথা বলতে চাইলে হাসপাতালে কোন দায়িত্বে না থেকেও গাইনি মহিলার স্বামীই হাসপাতালের সব দায়িত্বে রয়েছেন বলে বুঝা যায়। কারণ সে তার স্ত্রীকে সাংবাদিন ও পুলিশের সামনে আসতে বা কথা বলার জন্য কোন সুযোগ দেয়নি! এর কারণ জানতে চাইলে সে বলে ভিতরে চিকিৎসা চলতেছে। তার কথা মতো প্রায় ঘন্টাখানেক পুলিশ ও সাংবাদিকার অপেক্ষা করলেও মহিলা চিকিৎসাকে আর পাওয়া যায়নি! সে বলে ভিতবে আরেকজন মহিলার চিকিৎসা চলছে। কিন্তু দপুলিশও সাংবাদিক ও স্থানীয়রা প্রায় ঘন্টাখানে চিকিৎসকের কোন বক্তব্য বা দেখা করার সুযোগ পায়নি। ফলে, তার বক্তব্যও নেয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু ওই গাইনি মহিলার স্বামী বলেন গত ২মাস পূর্বে সন্তান প্রসবের হাসপাতালে রেকর্ডে কোন তথ্য প্রমান নেই! অতচ তারা যে ভিডিও ফেইসবুকে আপলোড করেছে তাতে দেখা ও শুনা যাচ্ছে গাইনী মহিলা রোগীর নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করতেছেন ও খাতায় লিখতেছেন, যা তাদেরই ভিডিও স্পর্শ দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের দাবী র্পূব বিরোধের জের হিসাবে স্কুল শিক্ষিকা শাহিনুর আক্তার পান্না তার আওয়ামী দূষর পলাতক স্বামী সেলিমের প্রভাবখাটিয়ে অন্যায় ভাবে দীর্ঘদিন ধরে নানান নির্যাতন করে আসছে আপন রক্তের মানুষের সাথে যা ভয় ভিতি দেখিয়ে সে তাদের সকল সহায় সম্পত্তি তার নামের নেয়ার জন্য। পান্না চৌধুরী গংরা ঘটনাটি পরিকল্পিত ভাবে সাজিয়ে ঐ শিক্ষক জামিল ও তার পরিবারকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছে মর্মে নানান অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি রহস্য জনক হওয়ায় পুলিশ আসল রহস্য উদঘাটনে তৎপর রয়েছে। এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির এসআই সোহরাব হোসেন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অচিরেই এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধী যে বা যারাই হোক তাদেরকে আইনের আওতার নিয়ে আসা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন