
জিবি নিউজ24 ডেস্ক //
ট্রেলারেই বাজিমাত করে চলেছে ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অভিনেতা রজনীকান্ত ও ঐশ্বর্য রাই অভিনীত ‘রোবট’ -এর সিকুয়েল ‘রোবো ২.০’।
ট্রেলারে দেখা এর ভিজুয়াল এফেক্ট মুগ্ধ করছে সিনেপ্রেমীদের। অনেকের মতে, রোবো ২.০-এর ভিজুয়াল এফেক্ট হলিউডের ছবিগুলোকেও হার মানাবে।
৬৫০ কোটি টাকা বাজেটের এই ছবির ৫০০ কোটি টাকা শুধু ভিজুয়াল এফেক্টের পেছনে খরচ করা হয়েছে।
ছবিটি এখন পর্যন্ত ভারতীয় সিনেমা শিল্পের সব থেকে বেশি বাজেটের ছবি বলে বলা হচ্ছে।
ছবিটির ২ মিনিট ৬ সেকেন্ডের ট্রেলারে ছবির বিপরীত চরিত্র অক্ষয় ও অভিনেত্রী অ্যামি জ্যাকসনের থেকে রজনীকান্তকেই বেশি দেখা গেছে।
‘রোবট’ ছবিতে দেখানো হয়েছিল আধুনিক প্রযুক্তি কীভাবে আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। সেখানে মানুষ, যন্ত্রনির্ভর হয়ে গেলে কেমন ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তা দেখানো হয়েছিল।
রোবটের সিকুয়াল ২.০ তে এ বার্তাকে আরও ভয়াবহ রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বর্তমানে প্রতিটি মানুষ খুব বেশি সেলফোন নির্ভর হয়ে পড়েছে। আর এই অতিমাত্রায় সেলফোন আসক্তি ক্ষতির দিকটা আনা হয়েছে ২.০ তে।
এ ছবির অন্যতম চরিত্র অক্ষয় তার ডায়ালগের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সে কথা- প্রত্যেক সেলফোন ব্যবহারকারী ব্যক্তি আদতে একজন খুনি।
ছবির একটি দৃশ্যে দেখা গেছে, সেলফোন নিয়ে কেউ সেলফি তুলতে ব্যস্ত, কেউ বা বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতায়ও সেলফোনকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।
হঠাৎই সেই সেলফোনগুলো হাত থেকে ছুটে পাখির মতো আকাশে উড়তে শুরু করে। এর পর সব জড়ো হয়ে এক ভয়ঙ্কর চেহারার পাখির রূপ নেয়।
আর সেই অতিমানবিক ক্ষমতাসম্পন্ন রাক্ষুসে চেহারার পাখির চরিত্রে দেখা গেল বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে।
পৃথিবী থেকে সেলফোনের ব্যবহার মুছে দিতে ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হয় অক্ষয়।
আর পৃথিবীকে বাঁচাতে ড. ভাসিগরন অক্ষয়ের মতো অতিমানবিক ক্ষমতাসম্পন্ন দুষ্টু পাখি থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে তৈরি করেন রোবট ‘চিট্টি’ কে।
শুধু হয় চিট্টি বনাম দানবীয় পাখির লড়াই। এসব লড়াইয়ে চমৎকার ভিজুয়্যাল এফেক্ট ব্যবহার হয়েছে।
এভাবেই এগিয়ে গেছে অক্ষয় কুমার, রজনীকান্ত ও অ্যামি জ্যকসন অভিনীত ২.০ ছবিটি।