ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি এবং সর্বোচ্চ ৩০ দিনে ধর্ষণের বিচার- অবিলম্বে কার্যকর হোক
রাজু আহমেদ ||
তুমি কে? আমি কে? আছিয়া আছিয়া! এই স্লোগান সারাজীবন আমাদেরকে তথা নারীদেরকে আছিয়া বানিয়ে রাখবে। রোজ রোজ আরও কোনো আছিয়া আছিয়ার ভাগ্য বরণ করবে। ধর্ষিতা হবে। হত্যা চেষ্টার ভাগ্যবরণ করবে। হয়তো খুন হবে। বিচার পাবে না। আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবে। রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ। এইবার না পারলে আর কোনোবারই পারবে না।
আছিয়াদের ধর্ষক, ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষক এবং ধর্ষকদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে দাঁড়াবো কবে? আছিয়ার বয়স আট। আমরা কি আট মাসের কোন আছিয়া ধর্ষিতা হবে- সেই সংবাদ শোনার অপেক্ষায় আছি? তারপর ধর্ষকদেরকে ছিঁড়ে কুকুরকে খাওয়াবো? সুযোগ এসেছে, হয় এখন নয়তো কখনোই নয়। বাংলাদেশকে ধর্ষকদের উর্বরভূমি হতে দেওয়া যাবে না।
এই সমাজে এখনও আদালতে ধর্ষকদের পক্ষে উকিল পাওয়া যায়! ধর্ষকদের আত্মপক্ষ সমর্থনের বাক ওয়াজ আদালত সময় নষ্ট করে শোনে। ধর্ষকদের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি এবং সর্বোচ্চ ৩০ দিনে ধর্ষণের বিচার- অবিলম্বে কার্যকর হোক। ধর্ষকদের মা ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে রাস্তায় নামুক।
তুমি কে? আমি কে? আর হবো না আছিয়া, আর হবো না আছিয়া! আর কোনো শিশু, মেয়ে এবং নারী আছিয়ার পরিণতি ভোগ না করুক। পুরুষ হিসেবে আজকাল মাকে এবং মেয়েকে মুখ দেখাতে লজ্জা হয়। বউয়ের সাথে টিভি দেখতে বসে ধর্ষণের সংবাদের সময় চ্যানেল ঘুরিয়ে ফেলতে হয়। মুক্তি কি আমরা কোনদিনই পাবো না?
আছিয়ার জন্য সমগ্র দেশ জেগেছে। ধর্ষকদেরকে দুনিয়া থেকে হটিয়ে দিন। রাষ্ট্র, আইন এবং আদালত আর দর্শকের সারিতে থাকবেন না। অ্যাকশন নিন। ডাইরেক্ট অ্যাকশন। ঘরে ফেরার আগেই ধর্ষকের পরিচয় চিরতরে মুছে দিন। অন্তত ঘরে ফিরে যাতে বউ-বোনের সামনে গর্বিত পুরুষ হিসেবে দাঁড়ানো যায়। নয়তো পুরুষ পরিচয় থেকে পালিয়ে বেড়ানোর সময় সমাগত।
একেকজন আছিয়া ধর্ষিতা হবে আর নেতারা দেশ-বিদেশ থেকে ধর্ষিতার পরিবারকে ফোন দিবেন, কেউ হাসপাতালে গিয়ে সহমর্মিতা জানাবেন কিংবা কেউ চিকিৎসার দায়িত্ব নিবেন- ধর্ষিতার পক্ষে এসব কিছুই চাইছি না। বিবৃতি নয় বরং কার্যকরী উদ্যোগ দেখতে চাই।
ধর্ষণ বন্ধ হয়েছে- গ্যারান্টি চাই। সমাজের ধর্ষকদের ঠিকঠাক চিকিৎসার আয়োজন করুন। বিশ্বাস করুন, বিকৃত মস্তিষ্কের কাউকে নসিহত করলে শুনবে না। সবার বেঁচে থাকার অধিকার নাই- এটাই জাস্টিস। প্রয়োজনে ধর্ষণে বিরুদ্ধে মব জাস্টিস চালু করুণ। আইন ও আদালতকে সক্রিয় করুন।
আছিয়াদের শুধু আছিয়াদের জন্যই নিরাপদে বাঁচতে দিতে হবে- ব্যাপারটি তার চেয়েও জরুরি। ধর্ষকের তকমা পুরুষ সমাজের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে সমাজ থেকে ধর্ষকদের চিরতরে উৎখাত করতেই হবে। আছিয়াদের জন্য দুনিয়াটা বেহেশতের মত নিরাপদ করতে না পারলে পুরুষ হিসেবে ব্যর্থতার দায় নিয়ে কৈফিয়ত হতে হবে। আর কোনো আছিয়া যাতে আট বছরের আছিয়ার পরিণতি বরণ না করে- সবাই আগুনমুখো হোন। আছিয়া বেঁচে গেলেও বিশ্বাস করতে পারবে আর কোন পুরুষকে?
তবুও আছিয়া বেঁচে ফিরুক। মায়ের কোলে ফিরুক। ধর্ষকদের জন্য এই মাটি নরক হোক। পশুরা চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ হোক। ওদের বেঁচে থাক কঠিন হোক। হবে তো এবার?

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন