হাকিকুল ইসলাম খোকন//
নির্বাসনের আদেশ পেয়েছেন নিউইয়র্কেও আড়াই লাখের বেশি বাসিন্দা। ইতিমধ্যে নিউইয়র্কের কর্মকর্তারা ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে গণনির্বাসনের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নথিবিহীন ‘লাখ লাখ’ অভিবাসীকে     
নির্বাসনে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরে নেতৃবৃন্দ আশঙ্কা করছেন, নিউইয়র্ক স্টেটে আকস্মিক অভিযান চালানো হতে পারে।
গত ২০ জানুয়ারি সোমবার শপথ নেওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দক্ষিণ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং জন্মগত নাগরিকত্বের অবসানসহ শতাধিক আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
নিউইয়র্ক সিটির ইমিগ্রেশন অ্যাডভোকেটরা আশঙ্কা করছেন, চার বছর আগে ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে যেমন অভিযান পরিচালিত হয়েছিল তেমনি এবারও নগরীর বিভিন্ন পাড়া/মহল্লায় আকস্মিক অভিযান চালানো হতে পারে।
নিউইয়র্ক সিটির অভয়ারণ্য শহর আইন রয়েছে। কিন্তু নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, তিনি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত অভিবাসীদের গ্রেপ্তারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে কাজ করবেন।
অ্যাডামস জোর দিয়ে বলেন, যেসব অভিবাসী আইন মেনে চলে তাদের আমেরিকার স্বপ্ন অনুসরণ করা চালিয়ে যেতে নিউইয়র্ক সিটিতে স্বাগত জানানো হয়। নিউইয়র্ক সিটি প্রায় পাঁচ লাখ নথিবিহীন অভিবাসীর আবাসস্থল। সম্প্রতি ইমিগ্রেশন আদালতের ডেটা এবং রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ইতিমধ্যে নিউইয়র্কের দুই লাখ ৫০ হাজারের বেশি বাসিন্দা নির্বাসনের আদেশ পেয়েছেন। দলিলাদি অনুসারে, নিউইয়র্ক স্টেটে ২০০০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যেসব বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করেছে, এমন অভিবাসীর সংখ্যা ২ লাখ ৫৪ হাজার ১৮০। সম্প্রতি অভিবাসন আদালত থেকে তারা ‘অপসারণ আদেশ’ পেয়েছেন। এই আদেশ তাদের নির্বাসনের যোগ্য করে তুলেছে। ইকুয়েডর, চীন, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, কলম্বিয়া, ভারত এবং পেরু থেকে এসব অভিবাসী এসেছে।
 
                            
                            
 
                                                                                                     
                                                                                                    
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন