হাকিকুল ইসলাম খোকন.,
ভারী বৃষ্টিপাতে নদ-নদীর পানি বাড়ছিল তার উপর উজানে ভারত মহুরী নদীর কলসী বাঁধ এবং গোমতি নদীর ডম্বুর বাঁধ পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই খুলে দেয়ায় প্রবল স্রোতে ঘরবাড়ি, গবাদী পশু ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেখা দিয়েছে। ১০/১২ ফুট উঁচু হয়ে শহর এবং হাজার হাজার একর ফসলের মাঠসহ অধিকাংশ জায়গা প্লাবিত হওয়ায় মানুষজন বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েও নিরাপদ বোধ করছে না।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী উজানের কোন দেশ নদীর উপর দেয়া বাঁধের গেট খুলে দেয়ার ৭২ ঘণ্টা পূর্বে ভাটির দেশকে জানানোর কথা কিন্তু এবারে পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ডম্বুর ও কলসী বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করেছে। কিন্তু আশ্চার্যের বিষয় যৌথ নদী কমিশনের বাংলাদেশের সদস্যরা এখনও পর্যন্ত ভারতের কাছে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ জানিয়েছে বলে শুনা যায়নি। এর মধ্যদিয়ে বিগত সরকারের মত অন্তর্বর্তী সরকারও সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী ভারত সরকারের প্রতি নতজানু নীতি নিয়ে চলছে কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক নদী আইন লংঘন করে ভারত থেকে আসা ৫৪টি নদীর উপর বাঁধ দিয়ে একতরফা পানি প্রত্যাহার করছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে যেমন বঞ্চিত হয়ে মরুকরণের ঝুঁকিতে পড়ছে তেমনি বর্ষা মৌসুমে বাঁধের গেট খুলে দিয়ে আমাদেরকে ভাসিয়ে মারছে ভারত। ভারতের এই পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে দেশবাসীকে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জেএসএফ—-বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন