সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরাক সীমান্তের কাছে ড্রোন হামলায় রবিবার পাঁচজন ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে, যারা সিরিয়ার ভেতরে একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। তবে হামলার পেছনে কারা ছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, সিরিয়া-ইরাক সীমান্তের কাছে একটি অজ্ঞাত ড্রোন ইরানপন্থী যোদ্ধাদের সামরিক যান লক্ষ্য করে হামলা করে।
এতে পাঁচজন যোদ্ধা নিহত এবং অন্যরা আহত হয়েছেন। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থাটির মতে, ড্রোন হামলাটি সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দেইর ইযোর প্রদেশে হয়েছে, যেখানে ইরানের উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে। জায়গাটিতে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিতভাবে হামলা চালায়।
জুন মাসে সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরাক সীমান্তের কাছে বিমান হামলায় ইরানপন্থী তিন যোদ্ধা নিহত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে কমপক্ষে দুজন ইরাকি ছিলেন।
২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েল শত শত হামলা পরিচালনা করেছে। এ সব হামলায় প্রধানত সেনাবাহিনীর অবস্থান ও ইরানপন্থী যোদ্ধাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যাদের মধ্যে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সদস্যরাও রয়েছে। ইসরায়েল সাধারণত সিরিয়ায় সংঘটিত পৃথক হামলাগুলো সম্পর্কে খুব কমই মন্তব্য করে।
লেবাননের শক্তিশালী হিজবুল্লাহ আন্দোলনসহ ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীকে শক্তিশালী করেছে। ২০১১ সালের বিদ্রোহকে সিরিয়ার সরকারের নৃশংস দমনের ফলে এই সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন