ইরাক বুধবার তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার নিন্দা জানিয়ে সতর্ক করে বলেছে, এ ঘটনা অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ হত্যাকাণ্ডকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি’ বলে বর্ণনা করেছে।
ইরাকের ইরানপন্থী জোটের অংশ আল-নুজাবা আন্দোলন বলেছে, হানিয়াকে হত্যা, বৈরুতে হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে লক্ষ্য এবং ইরাকে ইরানপন্থী যোদ্ধাদের ওপর মার্কিন হামলার মাধ্যমে জায়নবাদী ও মার্কিনরা নরকের দরজা খুলে দিয়েছে। এই ‘হত্যাকাণ্ডগুলো...আমাদের নিরস্ত করবে না, বরং আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করবে।
’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরাকে আল-নুজাবাসহ ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর একটি অনানুষ্ঠানিক জোট ইসলামিক প্রতিরোধ দাবি করেছে, ড্রোন ও রকেট হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও আক্রমণকারীর নাম না করে এপ্রিল থেকে বেশ কয়েকটি বিমান হামলার বিষয় নিশ্চিত করেছে। তবে তারা এ-ও বলেছে, তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করার আগেই সেগুলোকে আটকানো হয়েছে। জোটটি তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়া ও ইরাকে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার দাবি করেছে।
হামাস বুধবার জানিয়েছে, হানিয়া ইরানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। সেখানে তিনি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। গোষ্ঠীটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এ হামলার জবাব অবশ্যই দেওয়া হবে।
এর আগে ইসরায়েল মঙ্গলবার দক্ষিণ বৈরুতে হিজবুল্লাহর একটি শক্তিশালী ঘাঁটিতে আঘাত করে।
লেবানিজ সামরিক গোষ্ঠীর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে লক্ষ্য করেছিল তারা। তার অবস্থা জানা যায়নি। এ ছাড়া গত রাতে মার্কিন বাহিনী ইরানপন্থী ইরাকি যোদ্ধাদের ওপর একটি ‘প্রতিরক্ষামূলক’ বিমান হামলা চালায় বলে একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তার মতে, ওই যোদ্ধারা ড্রোন চালানোর চেষ্টা করছিলেন, যেগুলো মার্কিন ও মিত্র সেনাদের জন্য হুমকি বলে মনে করা হয়েছিল। ইরাকি সূত্র জানিয়েছে, এই হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন