প্রেমের টানে ইন্দোনেশীয় তরুণী শিবচরে, জাঁকজমক বিয়ে

ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। কাজের সুবাদে এই তরুণীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণ শামীম মাদবরের। ইন্দোনেশীয় তরুণীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরে থাকা অবস্থাতেই  প্রথমে টিকটকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মাদারীপুরের শিবচরের শামীম মাদবরের। পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া, ভালোলাগা আরো গভীর হতে থাকে।

এভাবেই কেটে যায় দুই বছর। অবশেষে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে শামীমের গ্রামের বাড়ি। ইন্দোনেশীয় তরুণী বর শামীমকে বিয়ে করতে চলে আসে বাংলাদেশে শামীমের বাড়িতে।

 

জানা যায়, ২০১৮ সালে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরের বড় কেশবপুর গ্রামের লাল মিয়া মাদবরের ছেলে সিঙ্গাপুর যান ভাগ্য বদলাতে।

সেখানে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ইন্দোনেশিয়ার তরুণী ইফহার সঙ্গে। মা-বাবা ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করলেও ইফহা সিঙ্গাপুরে অনলাইনে কসমেটিকসের সফল ব্যবসায়ী। গত দুই বছর তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ইউটিউবে বাংলাদেশে বিয়ের ধরণ পছন্দ হওয়ায় তারা এখানেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

উভয় পরিবারই বিয়ের শুরুতে অসম্মতি জানালেও তাদের প্রেমের টানের কাছে হেরে যান। সে মোতাবেক সিঙ্গাপুর থেকে গত ৩০ জানুয়ারি বাড়ি আসেন শামীম মাদবর। ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা।

 

শামীম মাদবরের পরিবার সানন্দে গ্রহণ করেন ওই তরুণীকে। বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ ও শুক্রবার শামীমের বাড়িতে জাঁকজমকভাবে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান।

এদিকে বিদেশি তরুণীর বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় জমায় এলাকাবাসী। প্রায় ৮ শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। বিদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মেয়েকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করে শামীমের বাড়িতে।

 

সালমা আক্তার নামে শামীম মাদবরের নিকটাত্মীয় বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয় তরুণী হলেও কাজের জন্য সিঙ্গাপুরে থাকেন। তবে ওর পরিবার ইন্দোনেশীয়া থাকেন। আমাদের শামীম সিঙ্গাপুর থাকেন প্রায় ৬ বছর ধরে। ওখানে থাকা অবস্থাতেই ইফহার সঙ্গে শামীমের পরিচয়। আমরা ফোনেই মেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছি। মেয়ে খুবই ভালো। 

শামীম মাদবরের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, ‘বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কিছুদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে। শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। এক সঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।’

শামীম বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশীয়ান তরুণী। তবে সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থায় প্রথম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (টিকটক) পরিচয় হয়। পরে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। বিয়েতে আমাদের কারো পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ের জন্যই ইফহা বাংলাদেশে আসে।’

ইফহা বলেন, ‘আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশীয়া বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন