সীমান্ত, ইউক্রেন ও ইসরায়েল : ১২ হাজার কোটি ডলারের পরিকল্পনা

gbn

যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার, ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহ, ইসরায়েলকে সহায়তাসহ বিভিন্ন খাতে বিশাল ব্যয়ের এক পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। তবে কট্টর রিপাবলিকানদের অবস্থান এই বিলের বিপক্ষে। রবিবার ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের নতুন বিলের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন সিনেটররা। সীমান্ত নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ইউক্রেন ও ইসরায়েলের সহায়তায় বিশাল এই তহবিল ব্যয় করতে পারবে প্রশাসন।

 

কিন্তু তাতে বাইডেনের দুশ্চিন্তা কমছে না। কেননা কট্টর রিপাবলিকানদের বিরোধিতায় এর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দুই পক্ষের সিনেটরদের সমর্থনেই বিলটি পাস হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার কোটি ডলার সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যয় করবে সরকার।

ছয় হাজার কোটি ডলার খরচ করা হবে ইউক্রেনের জন্য আর ইসরায়েলের নিরাপত্তা সহায়তার জন্য থাকছে এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

 

গাজা, পশ্চিম তীর ও ইউক্রেনের নাগরিকদের মানবিক সহায়তার জন্য এক হাজার কোটি ডলার ব্যয়ের প্রস্তাব রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, তিনি বিলটিকে জোর দিয়ে সমর্থন জানাচ্ছেন। এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘আমরা একটি দ্বিপক্ষীয় জাতীয় নিরাপত্তা চুক্তিতে পৌঁছেছি, যাতে কয়েক দশকের কঠোরতম ও ন্যায্য সীমান্ত সংস্কারের কথা রয়েছে।

 

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থীর দৌড়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ কয়েকজন প্রভাবশালী রিপাবলিকান নেতা এই বিলের ঘোর বিরোধী।
হাউস স্পিকার মাইক জনসন এরই মধ্যে জানিয়েছেন, বিলটি তার রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত চেম্বারে উত্থাপন হওয়ামাত্রই এর মৃত্যু ঘটবে। যদিও সিনেটের শীর্ষ রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককোনেল প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের অধীনেও রিপাবলিকানরা এর চেয়ে ভালো কিছু পাবেন না।

সিনেটর কির্স্টেন সিনেমা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্তকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এক সপ্তাহ ধরে দৈনিক সীমান্ত পারাপার পাঁচ হাজার অতিক্রম করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধ করে দিতে পারবে।

বিলটিকে ‘সীমান্ত সংকট মোকাবেলায়’ তার ‘জীবদ্দশার সবচেয়ে কঠোর সমাধান’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

 

অভিবাসন খাতে দুই হাজার কোটি ডলার বরাদ্দের কথা রয়েছে বিলে। আশ্রয় আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য কয়েক হাজার কর্মী ও সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কয়েক শ নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ ছাড়া লোহিত সাগরে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের জন্য ২৪৪ কোটি ডলার এবং ইন্দো প্যাসিফিকে মার্কিন অংশীদারদের সহায়তার জন্য ৪৮৩ কোটি ডলারের বিষয়টি রয়েছে বিলে।

জিবিডেস্ক //

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন