জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //
যেসব নাটক ও সিরিয়ালে নারী অভিনেত্রী রয়েছে আফগানিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে সেগুলো না দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে তালেবান সরকার। রোববার প্রকাশিত তালেবানের এক ‘ধর্মীয় নির্দেশনায়’ এ আহ্বান জানানো হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
আফগান মিডিয়ার প্রতি এটিই তালেবানের সৎকাজে উৎসাহ ও অসৎকাজে নিরুৎসাহ সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের প্রথম কোনো নির্দেশনা। এর আগে তালেবান অবশ্য আফগানিস্তানের নারী সাংবাদিকদের তাদের প্রতিবেদন পাঠকালে ইসলামি কায়দায় হিজাব পরতে বলেছিল। এ ছাড়া যেসব সিনেমা বা অনুষ্ঠানে নবীজী মোহাম্মদ (সা.) এবং অন্যান্য নবী-রাসুলদের চরিত্রায়ন করা হয়েছে সেগুলোও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে তালেবানের সাম্প্রতিক নির্দেশনায়। ইসলামি মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব অনুষ্ঠান বাতিল করার আহ্বান জানানো হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী নারী সাংবাদিক ও উপস্থাপকদের পর্দায় হিজাব পরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে, তবে কোন ধরণের হিজাব পরতে হবে তা বলা হয়নি। সাংবাদিকেরা বলছেন, তালেবানের নতুন কিছু নিয়ম অস্পষ্ট আর সেগুলো ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তালেবানের সৎকাজে উৎসাহ ও অসৎকাজে নিরুৎসাহ সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হাকিফ মোহাজির এএফপিকে বলেন, ‘এগুলো আইন নয় বরং ধর্মীয় নির্দেশনা।’
আফগান টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিদেশি নাটক প্রচার করে, সেগুলোর কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকে নারী। আফগান সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠনের সদস্য হুজ্জাতুল্লাহ মুজাদ্দেদি বলেছেন, নতুন বিধিনিষেধের ঘোষণা অপ্রত্যাশিত। নতুন নিয়মের কয়েকটি বাস্তবিক নয় আর এগুলো বাস্তবায়ন করা হলে সম্প্রচার বন্ধ করে দিতে হবে।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে গোটা আফগানিস্তানের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবানের নতুন সরকার ধীরে ধীরে নিজেদের আদর্শ মোতাবেক আইন-কানুন ও নির্দেশনা জারি করছে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল তখন অনৈতিকতার কথা বলে আফগানিস্তানে টেলিভিশন, সিনেমা ও বিনোদনের মাধ্যমগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। গত দুই দশকে তালেবানের অনুপস্থিতিতে দেশটিতে বেশকিছু টেলিভিশন রেডিও চালু হয়েছে। আবারও তালেবানের শাসনামল ফিরে আসায় বেশ নিয়ন্ত্রণের মুখে পড়েছে এগুলো।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন