মোঃ নাসির, নিউ জার্সি (আমেরিকা) থেকে-
ফনী ভূষণদা আমাকে বলেছিলেন নাসির আমার জন্য দুঃখ করবেন না। কারণ আমি বিশ্বের সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ।আমি ফনীদাকে রসিকতা করে বলেছিলাম আপনার দোষ আপনি বিয়ে করেননি।কথাটা শুনে ফনীদা হেসেছিলেন ।তিনি কিছুদিন আগে আমাকে বলেছিলেন X-ray তে আমার ফুসফুসে কিছু সমস্যা ধরা পড়েছে।আমার জন্য প্রার্থনা করবেন একটু। তিনি খুব ধুমপান করতেন ।ম্যারাথন ধুমপানের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময়ও পেরিয়ে গেল, ক্যান্সার হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। মরতে তেমন ভয় সত্যিই ছিল না তার, তবে সংগতকারনেই ভোগান্তিতে ভয় ছিল তার।আমি তার কাছ থেকে শিখেছি মনে রাখবেন-জীবনের চাহিদাকে যত সীমিত রাখবেন>জীবন ততই শান্তিময় হবে | আমি আরো ফনীদার কাছ থেকে শিখিছি জীবন খুবই ছোট>প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে অনুতপ্ত বোধ করার কোন মানেই হয় না। যে মানুষগুলো তোমাকে যথার্থ মূল্যায়ন করে তাদের ভালোবাসো আর যারা তোমাকে মূল্যায়ন করে না তাদের প্রতিও সহানুভূতিশীল হও।কৃতজ্ঞতা এবং ঋণ স্বীকার করা মানুষের শ্রেষ্ঠ ধর্ম -ত্রটা আমি তার মাঝে দেখছি ।ফনীদা থেকে শিক্ষা -জীবনে অন্যের জন্য ভাবো ,অন্যর কিছু করার চেষটা কর ।সব সময় বিপদে পাশে পেয়েছি ফনীদাকে। ত্রটা তার কাছ থেকে শিক্ষা যখন মানুষ কারো নিয়ে
কাদা ছোড়াছুরি করে-এতে লাভ কি হবে। অযথা কাদা ছোড়াছুরি করে আরেকজন অসন্মানিত করা ।জীবন কখনো থেমে থাকে না, ফনীদার কথা আজো আমার মনে পড়ে ।
তবে মাঝে মাঝে মনটা থেমে যাই ফনীদার কথা মনে হলে । ফনীদার কাছ থেকে শিক্ষা -আপনি যতই উপরে ওঠেননা কেন,মনে রাখবেন মাটি থেকেই কিন্তু উঠেছেন,আবার মাটিতেই ফিরে আসতে হবে,সুতরাং অতীত ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়।যারা অতীতকে ভূলে যায়,,তারা বিলীন হয়ে যায় | ত্রখন আমরা অনেকে অতীত ভুলে যায় ।বেঁচে আছে ফনীদা আমার ত্রবং অনেকের মাঝে ।২০১৬ সনের ২৬ মার্চ ফনী ভূষণ চৌধুরী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তখন তিনি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন।অাল্লাহ তায়ালা ধৈর্যশীলকে ভালবাসেন।অাল্লাহ তায়ালা ফনীদাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচু মাকাম দান করুন।
তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তি লাভ করুক এ প্রার্থনা করছি।অামিন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন