জিবি নিউজ প্রতিনিধি//
আগামী ফেব্রুয়ারীতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি তীব্র হচ্ছে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তা আরো তীব্র হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেএকটি পক্ষ। তারা নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করতে তারা নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেজন্য প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম ঢুকছে দেশে। আর ওসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ নির্বাচন বানচালে ব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও অবৈধ অস্ত্রধারীদের সামাল দিতে না পারলে তা আদৌ সম্ভব হবে কি-না, বড়মাপে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে যেভাবে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বৃদ্ধি পাচ্ছে নির্বাচনের আগে সামাল দিতে না পারলে ভোট কতটা সুষ্ঠু হবে, তা নিয়ে বড়মাপে শঙ্কা থেকে যায়। অস্ত্রের ঝনঝনানি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজনীতিতেও। প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারে ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, গণ অভ্যুত্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর লুট হওয়া অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়ায় অস্ত্র প্রদর্শন ও তার ব্যবহার বেড়েই চলছে। পুলিশের লুট হওয়া ১৮টি অস্ত্রের সাথে ৫ হাজার ১৯৯ রাউন্ড গুলি এখন অবৈধ হয়ে অপরাধীদের হাতেই রয়ে গেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সরকারকে কড়া হতে হবে। অস্ত্রধারী যে-ই হোক তাদের আনতে হবে আইনের আওতায়। দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি যাতে মাথা চাড়া দিয়ে না ওঠে সে ব্যাপারে থাকতে হবে সতর্ক। এটি তাদের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।
এসএমপি পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, ৫ আগস্ট এসএমপির বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ১০১টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৮৩টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হলেও বাকি ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে লুন্ঠিত ৫ হাজার ৭৪০ রাউন্ড গুলির মধ্যে ৫৪১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ১৮টি অস্ত্রের সাথে ৫ হাজার ১৯৯ রাউন্ড গুলির কোনো হদিস এখন পর্যন্ত নেই। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে-এসএমজি, চায়না রাইফেল, পিস্তল, শটগান এবং গ্যাস গান।
জানা গেছে, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ, গুলি, কার্তুজ ও অবৈধ এয়ারগান উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অনুমোদন ছাড়া এসব অস্ত্র রাখা আইনগতভাবে দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও অনেকেই তা সংগ্রহ করেছিলেন বিনা অনুমতিতে। সিলেটের ভোলাগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, জাফলং, সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জের চুনারুঘাট, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এলাকায় তল্লাশী চালিয়ে ভারতীয় অবৈধ এয়ারগান, দেশীয় রিভলভার, পিতলের গুলি ও স্টিলের গুলি, তাজাগুলি, দোনালা বন্দুক, পুরাতন কাঠের বাটযুক্ত একনলা বন্দুক, পাইপ গান, তাজা কার্তুজ, দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
সর্বশেষ রবিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার আলীনগরস্থ একটি বাগানের ভিতর থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় একটি এয়ারগান উদ্ধার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯)।
একইদিন রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর পৌণে ১২টার দিকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) সিপিসি-১ ব্রাহ্মনবাড়িয়ার একটি দল অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার নোয়াগাঁওয়ের একটি ব্রিজের পাশের ঝোপের ভেতর থেকে ৪০৫ রাউণ্ড তাজা গুলি এবং দুটি এয়ারগান উদ্ধার করা হয়। এয়ারগান দুটি সচল ও গুলিগুলো তাজা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাবের গণমাধ্যম বিভাগ। এগুলো আইনী প্রক্রিয়া মেনে সরাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগের দিন শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে (শুক্রবার দিবাগত রাত) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেটের গোলাপগঞ্জের রনকেলি নুরুপাড়ার একটি ঝোপঝাড়ের ভেতর থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৬০ রাউন্ড তাজা গুলি ও দুটি সচল বিদেশী এয়ারগান। এ ব্যাপারে দুটি জিডি দায়ের করে অস্ত্র ও গুলিগুলো গোলাপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে র্যাবের গণমাধ্যম কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহীদুল ইসলাম সোহাগ।
গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে র্যাব-৯ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানাধীন লাউতা ইউনিয়নের জলডোপ কালিবহর এলাকায় বাঁশ ঝাড়ের ভিতর থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১টি শটগান উদ্ধার করে। প্রাথমিক পর্যালোচনায় জানা যায় এটি একটি দেশীয় ১২ বোর শটগান। সহজে বহন এবং নাশকতার কাজে ব্যবহারের জন্য এটিকে এয়ারগান থেকে ১২ বোর কার্টিজ ফায়ারের উপযুক্ত করা হয়। বর্তমানে এটি সচল রয়েছে।
গত রবিবার (২৪ আগস্ট) ভোররাতে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী জাফলং চা বাগান সংলগ্ন কাটারী এলাকায় সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮-বিজিবির অভিযানে চারটি ভারতীয় এয়ারগান উদ্ধার করা হয়। গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ভোররাতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে ইসহাকপুর গ্রামের এলাইছ মিয়ার বাড়ি থেকে পুরাতন কাঠের বাটযুক্ত একনলা বন্দুক, দুইটি পাইপ গান, একটি তাজা কার্তুজ, একটি চাপাতি, ছয়টি ছুরি এবং একটি লোহার তৈরি ক্লিনিং রড উদ্ধার করা হয়।
গত বুধবার (২০ আগস্ট) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের কায়স্থ্যগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেটের দক্ষিণ পাশে ঘাসের মধ্যে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি দেশীয় রিভলভার, ৩ রাউন্ড পিতলের গুলি ও ১ রাউন্ড স্টিলের গুলি উদ্ধার করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-৯)।
গত রবিবার (১৮ আগস্ট) রাত আনুমানিক সোয়া ১১টার দিকে সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের সুপাতলা এলাকায় পৌর শহরের ময়লার স্তুপে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় দোনালা বন্দুক উদ্ধার করে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-৯)।
গত শনিবার (১৭ আগস্ট) সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর এলাকার পাথর চুরি ও পাথর লুটপাটের ঘটনায় টাস্কফোর্সের বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, এয়ারগান ও মদসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার (৩ আগস্ট) হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ গ্রামে অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও ইয়াবা বড়িসহ দুই ভাইকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সমাজের সচেতন নাগরিকরা বলছেন, রাজনৈতিক সহিংসতা, হত্যা, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। অবৈধ এসব অস্ত্রের একটি অংশ আসে ভারত থেকে সীমান্তপথে চোরাচালানের মাধ্যমে। পাহাঢ়পথ ও জলপথ দিয়েও এই সকল অবৈধ অস্ত্র দেশে ঢুকছে। সন্ত্রাসীদের কাছে দেশে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি বিদেশি পিস্তল, রিভলবার, রাইফেল, শটগান, এমনকি একে-৪৭ রাইফেলের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্রও আছে।
অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান না থাকায় অপরাধীরা প্রশ্রয় পাচ্ছে। দুর্বল নজরদারির কারণে ঘটনাগুলো বারবার ঘটেছে। সারা দেশে একযোগে যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের এখনই সময়। না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তাদের মতে, দেশে অস্ত্র প্রবেশের রুটগুলো মোটামুটি চিহ্নিত। বিশেষ করে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি ও অভিযান চালানো প্রয়োজন। এই এলাকাগুলোকে নিরাপদবেষ্টনীর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে, ক্রাইম ম্যাপিং, জিআইএস, জিপিএসের মাধ্যমে অপরাধ ও অপরাধীদের বহুমাত্রিক স্তর এবং পরিসীমাকে চিহ্নিত করে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। চিহ্নিত এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা টহলের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অপরাধ শনাক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে। এ ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে ক্রমান্বয়ে অবৈধ অস্ত্র পাচারের হার এবং পাচারকারীর সংখ্যা কমে আসতে শুরু করবে।
সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তীতে লুন্ঠিত অস্ত্রগুলো অতিদ্রুত উদ্ধার করা জরুরি। এসব অস্ত্র দুর্বৃত্তদের হাতে থাকা সবার জন্যই আতঙ্কের। লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি বাইরে থাকা জনগণের জন্য ঝুঁকির কারণ। কারণ মনে রাখতে হবে, যারা এসব অস্ত্র লুট করেছে, তারা কোনোভাবেই সাধারণ জনগণ নয়, তাদের উদ্দেশ্যও মহৎ নয়। তাই দ্রুত অস্ত্র উদ্ধার করা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারীতে জাতীয় নির্বাচন। নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই নির্বাচনকে বানচাল করতে যেকোনো কিছু করতে পারে। তাই প্রশাসনের উচিৎ যতো দ্রুত সম্ভব লুণ্ঠিত অস্ত্র ও সীমান্ত দিয়ে প্রবেশকৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান সিলেটভিউকে বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন স্থানে অবৈধ অস্ত্রের উপস্থিতি উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। এই অস্ত্রসমূহ নির্বাচনের সময় সহিংসতায় ব্যবহৃত হতে পারে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এসব অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের উচিত নির্বাচন শুরুর আগে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেশবাসীর প্রত্যাশা। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। রাজনৈতিক দলসমূহকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান করছি এবং প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান করছি।’
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৯) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া ) কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, ‘অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। অবৈধ অস্ত্র, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতিমালা রয়েছে। আমরা সার্বক্ষনিক আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি উত্তর) ও মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় নজরদারি ও আগাম তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। যেকোনো ধরনের অবৈধ কর্মকান্ড, নাশকতা বা সংঘর্ষের চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়াও পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদি লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলির কোথাও কোনো সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যেখানেই থাকুক অভিযান পরিচালনা করে তা উদ্ধার করা হবে।’
এদিকে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম আগেই সিলেটভিউকে জানিয়েছিলেন, ‘সিলেটে উদ্ধার করা এয়ারগানগুলো মূলত! পাখি শিকারের জন্য। এই এয়ারগানগুলো মানুষের জন্য কোনো ঝুঁকির কারণ নয়। উদ্ধারকৃত এয়ারগানগুলো ভারতীয় এবং অবৈধ তাই এগুলো উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে। শুধুই এয়ারগান নয় সকল প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা হয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ভারতীয় অবৈধ চোরাচালান কিংবা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ যেকোনো বিষয়ে সিলেটের সবগুলো সীমান্তে বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন